শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

২৮ দিনে ১৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ৩১ মে ২০২০   |   প্রিন্ট   |   378 বার পঠিত

২৮ দিনে ১৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনাভাইরাসে মন্দা অবস্থায় অর্থনীতি। এ সঙ্কটময় পরিস্থিতিতেও মে মাসের ২৮ দিনে দেশে ১৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১১ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। রোববার (৩১ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাস রোধে লকডাউনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা অনেক প্রবাসীর আয় বন্ধ হয়ে যায়। আবার অচলাবস্থার কারণে অনেকে দেশে টাকা পাঠাতে পারেননি। এসব কারণে গত দুই মাস রেমিট্যান্স কমেছে। তবে ধীরে ধীরে এখন বিশ্ব পরিস্থিতি উন্নত হচ্ছে। অনেক দেশ স্বাভাবিক হয়েছে। চালু হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। তাই ঈদের মাসে প্রিয়জন ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ধার-দেনা করে হলেও রেমিট্যান্স পাঠায় প্রবাসীরা। যার ফলে মাহামারিতে কোণঠাসায় থাকা অর্থনীতিতে স্বস্তি দিচ্ছে রেমিট্যান্স।

ঈদের আগে প্রতি বছরই দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। গত বছরের ঈদের আগে মে মাসে ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে কিছুটা হোঁচট খেয়েছে। তবে চলতি মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ তার আগের দুই মাসের (মার্চ ও এপ্রিল) চেয়ে বেশি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসের ২৮ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা তার আগের মাস এপ্রিলের চেয়ে প্রায় ২৫ কোটি ডলার বেশি। এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, যা গত ৩০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ৮৫ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

চলতি বছরের মার্চ মাসে ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, যা গত বছরের মার্চের চেয়ে সাড়ে ১২ শতাংশ কম। গত বছরের মার্চে রেমিট্যান্স আসে ১৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।

এদিকে রেমিট্যান্সে সরকার ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা প্রবাসীরা যেন সহজে পান সে জন্য বেশকিছু শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতদিন দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্সের প্রণোদনায় কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগতো না। এর আওতা বাড়ানো হয়েছে। গত ১ জুলাই থেকে প্রবাসীদের পাঠানো পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত রেমিট্যান্সে বিনা শর্তে কোনো ধরনের কাগজপত্র ছাড়াই প্রণোদনার অর্থ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকার ওপরে কাগজপত্র জমা দেয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। এতদিন প্রণোদনা পেতে হলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রাপক ওঠানোর ১৫ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হতো। এখন তা বাড়িয়ে দুই মাস করা হয়েছে।

জানা গেছে, এতদিন দেড় লাখ টাকার নিচে পাঠানো অর্থের বিপরীতে রেমিট্যান্সের নগদ প্রণোদনা পাওয়ার জন্য কোনো কাগজপত্র লাগতো না। তবে দেড় লাখ টাকার বেশি রেমিট্যান্সের নগদ প্রণোদনা পাওয়ার জন্য রেমিট্যান্স প্রদানকারী ব্যাংকের শাখায় পাসপোর্টের কপি এবং বিদেশি নিয়োগদাতার দেয়া নিয়োগপত্রের কপি জমা দিতে হয়। রেমিট্যান্স প্রেরণকারী ব্যক্তি ব্যবসায় নিয়োজিত হলে ব্যবসার লাইসেন্স দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে, যা অর্থবছর হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ।

এদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও বিভিন্ন সংস্থার ঋণের কারণে রফতানি মন্দার মধ্যেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। গত ২০ মে পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৩২০ কোটি টাকা (৩৩ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার)।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১০:২৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩১ মে ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11395 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।