নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০১ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট | 383 বার পঠিত
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসার প্রক্রিয়ায় থাকা ওমেরা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডকে নমীয় সুদ হারে ২ কোটি ডলার (স্থানীয় মুদ্রায় প্রায় ১৭০ কোটি টাকা) ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)।
এ লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে। আইএফসির পক্ষে কান্ট্রি প্রধান (চলতি দায়িত্ব) নুজহাত আনোয়ার ও ওমেরার পক্ষে আকতার হোসেন সান্নামাত এফসিএ এ চুক্তি সই করেন।
ওমরা পেট্রোলিয়াম সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড- ১৯) ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য আইএফসি এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে ওমেরা পেট্রোলিয়ামকে। বিনিয়োগ, স্টোরেজ ও ফিলিং ক্যাপাসিটি বিবেচনায় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কোম্পানি ওমেরা পেট্রোলিয়ামকে দ্বিতীয়বারের জন্য আইএফসি এই ঋণ সুবিধা দিতে যাচ্ছে। এই তহবিল এলপিজি আমদানী ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করবে ওমেরা।
দ্বিতীয়বার আইএফসির ঋণ প্রাপ্তির বিষয়টিকে ওমেরা পেট্রোলিয়ামের জন্য বেশ তাৎপর্যময় ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেন কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আকতার হোসেন সান্নামাত এফসিএ। তিনি বলেন, মূলত আমাদের কোম্পানির পাফরম্যান্স, ব্যবসার প্রবৃদ্ধি, ম্যাজমেন্টের দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা তথা করপোরেট গভর্ন্যান্সে আইএফসি সন্তুষ্ট। যারা যেসব মানদণ্ডকে প্রাধান্য দেয় সব মানদণ্ডেই ওমের অবস্থান সন্তুষজনক। তাই আন্তর্জাতিক এই প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয়বারের মতো ওমেরাকে অর্থায়ন করছে।
তিনি বলেন, আইএফসির বৈদিশিক মুদ্রার এই বিনিয়োগ ওমেরার দক্ষ তহবিল ব্যবস্থাপনা, উৎপাদন ও বিক্রয় কার্যক্রম আরো সফলতার সাথে পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আইএফসির সাথে ওমেরার সর্ম্পক ও অংশীদারিত্ব খুবই দৃঢ় এবং আমরা আইএফসির সামাজিক ও পরিবেশগত দায়বদ্ধতার নির্দেশিকা প্রতিপালনে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরো বলেন, এতে করে সারাদেশে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এলপিজির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করবে।
উল্লেখ, ওমেরা এলপিজি এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেডের একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি। ২০১৫ সালে এফএমও এবং ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম এলপিজি কোম্পানি বি বি এনার্জির সাথে যৌথ উদ্যোগে ওমেরার যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ওমেরার ৪টি এলপিজি উৎপাদনকারী প্লান্ট রয়েছে যার প্রধান টার্মিনাল মংলায় অবস্থিত। ওমেরার রয়েছে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিকটন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টোরেজ ব্যবস্থা এবং দৈনিক ৬০ হাজার সিলিন্ডার রিফিলিং করার সক্ষমতা। ৩টি এলপিজি বহনকারী অত্যাধুনিক জাহাজ ছাড়াও কোম্পানির রয়েছে ৩৪টি এলপিজি রোড ট্যাংকার। একইসাথে ওমেরা আইএসও ৯০০০:২০১৫, আইএসও ১৪০০১:২০১৫, আইএসও ৪৫০০১:২০১৮ সনদপ্রাপ্ত। ছাড়াও ওমেরা ২০১৯ সাল থেকে ভারতে এলপিজি রপ্তানি করে আসছে।
উল্লেখ, বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিওর মাধ্যমে বাজারে আসার প্রক্রিয়ায় আছে ওমেরা পেট্রোলিয়াম। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ওমেরা পেট্রোলিয়াম গত বছর অক্টোবরে রোড শো করে বিএইসিতে আবেদন জমা দিয়েছে। কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে ২৩৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়।
Posted ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০১ জুলাই ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan