নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট | 290 বার পঠিত
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমান বলেছেন, , পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রযুক্তির (টেকনলোজি) গুরুত্ব অপরিসীম। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন একজন বিনিয়োগকারী ঘরে বসেই বিনিয়োগের জন্য সব তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের আলাদা করে দেখবেন না। সবাই নিজস্ব চিন্তায় বিনিয়োগ করবে।
আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) ‘টেকনলোজি টু প্রটেক্ট অ্যান্ড অ্যাসিস্ট ইনভেন্টর ইন দ্যা ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ মাচেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ভার্চুয়াল এই সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শেখ সামসুদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)-এর প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন আকন্দ ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)-এর প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ছায়েদুর রহমান বলেন, সভাপতির বক্তব্যে ছায়েদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রযুক্তির (টেকনলোজি) গুরুত্ব অপরিসীম। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন একজন বিনিয়োগকারী ঘরে বসেই বিনিয়োগের জন্য সব তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
বিনিয়োগ শিক্ষায় প্রযুক্তির গুরুত্ব অনেক জানিয়ে বিএমবিএ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়েছে। তবে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতির কারণেই করোনা মহামরির মধ্যে দেশের পুঁজিবাজার ৬৬ দিন বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষা একজন বিনিয়োগকারীকে কোথায় ও কখন বিনিয়োগ করতে হবে, তা শেখায়। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারী তার ঝুঁকি মোকাবিলা করতে শেখেন।
বিএমবিএ সভাপতি বলেন, গত ১০ বছরে পুঁজিবাজারে আসা ৯৯ শতাংশ কোম্পানি দুর্বল বলে সম্প্রতি একজন জানান। তথ্যের ঘাটতির কারণে তিনি এমনটি বলেছেন। তবে এসব তথ্যের সত্যতা এখন ঘরে বসেই যাচাই করা সম্ভব।
পুঁজিবাজারে একটি কোম্পানির লেনদেনের শুরুতে শেয়ারের সরবরাহ কম থাকার কারণে অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পায় বলে জানান ছায়েদুর রহমান। এই দর বৃদ্ধির পেছনে কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল কোন কিছু বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় না। তবে এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে বিগত কমিশন লেনদেনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন ৫০ শতাংশ করে সার্কিট ব্রেকার আরোপ করে। কিন্তু তারপরও ওই সীমার সর্বোচ্চতে দর বৃদ্ধি পায়। এই সমস্যা কাটিয়ে তুলতে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে জানান তিনি।
Posted ৬:২৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১০ অক্টোবর ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan