নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১ | প্রিন্ট | 219 বার পঠিত
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচায় যে ভোগান্তি হয়, সেই ভোগান্তির নিরসন চায় বিনিয়োগকারীরা। একই সঙ্গে ‘জেড’ ক্যাটাগরির নাম পরিবর্তন করারও দাবি জানিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি একেএম মিজান-উর রশিদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক স্বাক্ষরিত এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দীর্ঘদিনের মন্দা ভাব কাটিয়ে পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে। আপনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, পুরো কমিশনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সব অংশীজনের সহযোগিতার ফলে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি হয়েছে। পুঁজিবাজারের সূচক ও দৈনন্দিন লেনদেন বেড়েছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্যাপিটাল গেইনের পাশাপাশি ভালো ডিভিডেন্টের প্রত্যাশা করছেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়—শেয়ারের বিভাজনের কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে বিনিয়োগকারীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে, নগদ টাকা দিয়ে শেয়ার কিনতে হয়। অন্য কোনো শেয়ার বিক্রি করে ওই দিন শেয়ার কেনা যায় না। ‘জেড’ ক্যাটাগরির শেয়ার ক্রয়ের পর চতুর্থ কার্যদিবসে ম্যাচুরিটি (বিক্রয় যোগ্য) হয়। শেয়ার বিক্রির টাকা ম্যাচুরিটি হওয়ার পূর্বে ওই টাকা দিয়ে অন্য কোন শেয়ার ক্রয় আদেশ দেওয়া যায় না। এতে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহারকারীদের আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। পুঁজিবাজারে লেনদেনের গতি কিছুটা কমে যায় এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের চিঠিতে আরও বলা হয়, বিশ্বের কোন দেশে ‘জেড’ ক্যাটাগরি বলতে কোনো ধরনের শেয়ার নেই। একই মার্কেটে দুই ধরনের নিয়ম থাকা ঠিক নয় বলে মনে করেন অনেক বাজার বিশ্লেষকরা। তাই পুঁজিবাজারের লেনদেনের গতি বৃদ্ধি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ‘জেড’ ক্যাটাগরির নাম পরিবর্তন করারসহ শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘এন’ ক্যাটাগরির মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
Posted ১:৩১ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan