বিবিএ নিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট | 176 বার পঠিত
পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টার করপোরেশন লিমিটেডের কাছে আটকা কিউকম গ্রাহকের ৫৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের অনুকূলে ছাড় করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল) মুহাম্মদ সাঈদ আলী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ছাড়াও চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক অপরাধ তদন্ত বিভাগকেও (সিআইডি)।
দেশে ই-কমার্স খাতে একের পর এক বিভিন্ন প্রতারণা উদঘাটন হওয়ার পর বিভিন্ন গেটওয়ের কাছে সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের যেসব টাকা আটকে রয়েছে, তাদের মধ্যে কিউ কম গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়াটিই প্রথম শুরু হলো।
জানা গেছে, বর্তমানে পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে কিউকমের আটকা পড়ে আছে ৩৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রাহকদের অন্তত ১৬৬ কোটি টাকা রয়েছে, যার বিপরীতে পণ্য ডেলিভারি করেনি এই ই-কমার্স কোম্পানি। এখন ফস্টারের জব্দ অ্যাকাউন্টে এসব টাকা আটকে আছে।
এ অবস্থায় গত ২৮ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কমার্সের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক যেসব গ্রাহক অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও পণ্য পায়নি, কিউকম ও ফস্টারকে আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা ডিজিটাল কমার্স সেলে জমা দিতে নির্দেশনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনার আলোকে ফস্টার করপোরেশন লি. এবং কিউকম যৌথভাবে যে সকল অর্ডারের বিপরীতে কোন পণ্য সরবরাহ করা হয়নি অথচ গ্রাহক কর্তৃক পরিশোধিত টাকা ফস্টার কর্পোরেশন লি. নিকট আটকে আছে, তার তার একটি প্রাথমিক ও আংশিক তালিকা মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করে। যৌথ স্বাক্ষরের এই তালিকায় বলা হয়, ৬৭২১ টি অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকরা পাবেন ৫৯ কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিজিটাল কমার্সের প্রধান এএইচএম সফিজ্জামান জানান, আংশিক তালিকা পাওয়ার পর ফন্টার করপোরেশন লি. এবং ছপড়ড়স.পড়স এবং ই-ক্যাব এর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঝুম প্লাটফর্মে একটি সভা আয়োজন করা হয়েছে। ওই সভায় জমা দেয়া তালিকা অনুযায়ী ৬ হাজার ৭২১ টি অর্ডারের বিপরীতে ৫৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহক/ক্রেতাদের ফেরত দেয়া যেতে পারে বলে একমত হয়।
সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে ফস্টার করপোরেশনের কাছে আটকে থাকা টাকা সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অনুকূলে ছাড় করার উদ্যোগ নিতে বলেছে।
Posted ৪:১০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy