রবিবার ৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ০২ মার্চ ২০২২   |   প্রিন্ট   |   202 বার পঠিত

৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ভুয়া আয়কর উপদেষ্টা কোম্পানি দেখিয়ে ১০ চেকের মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক এমডিসহ সাত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আসামীদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার (২ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ -এর ৪ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শান্তনু সাহা, সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক সিনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নাজমুন নাহার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আহসানুল ইসলাম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব আইসিসিডি তানভীর হাসান, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বিপ্লব সাহা এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানি সেক্রেটারি শেখ খালেদ জহির।

মামলার এজাহারে উল্লেখ, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে এ. হোসেন অ্যান্ড কোম্পানিকে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ইনকাম ট্যাক্স অ্যাডভাইজার হিসেবে দেখায়। প্রকৃত অর্থে কোম্পানিটি ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ট্যাক্স অ্যাডভাইজার নয়। তারপরও বিভিন্ন ব্যাংক থেকে গৃহীত ঋণের সুদ দেওয়ার নামে ওই সুদ-প্রদান খাত থেকে টাকা উত্তোলন করে। তারা নির্দিষ্ট ব্যাংকে জমা প্রদান না করে এ. হোসেন অ্যান্ড কোম্পানির নামে ১০টি চেকের মাধ্যমে ২ কোটি ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৯৭০ টাকা দেয়। আর ওই টাকা আত্মসাত করে স্থানান্তর, পাচার, পেমেন্ট ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বৈধ করার চেষ্টা করেছে আসামিরা।

মামলায় আরও উল্লেখ, ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লি. এন্ট্র পাস করানো হয়েছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ব্যাংকের ঋণচুক্তির বিপরীতে সুদ বাবদ কত টাকা পরিশোধ করতে হবে ভাউচারে এন্ট্রি দিয়ে তা পাস করানো হয়েছে। কিন্তু চেক লেখার সময় ভাউচারে বর্ণিত প্রাপকের পরিবর্তে আয়কর কনসালট্যান্ট এ. হোসেন অ্যান্ড কোং -এর নামে চেক ইস্যু করা হয়। অর্থ আত্মসাতের এ কর্মকামন্ড কোম্পানির আয়কর পরামর্শক এবং কর্মচারীদের সুপরিকল্পিত ও সুসংগঠিত অপরাধ বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে।
এ. হোসেন অ্যান্ড কোংয়ের অন্তর্ভূক্তি করণ প্রকৃতপক্ষে একটি অতিরিক্ত স্তর সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অপরাধকে আড়াল করা হয়। এসব অপরাধ আড়াল করার জন্য ২০১৮ সালে ১৭ এপ্রিলে অনুষ্ঠিত কোম্পানির ১৮৪ তম বোর্ড সভায় ২০১৬-১৭ কর বর্ষের জন্য কোম্পানির ট্যাক্স পরামর্শক এ. হোসেন অ্যান্ড কোং – কে অ্যাডভাইজরি ফি দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছে। ওই রেজুলেশনে টাকার অংক উল্লেখ করা হয়নি। বিধি মোতাবেক উপদেষ্টা নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হয়। কিন্তু তাকে আয়কর উপদেষ্টা বা অ্যাডভাইজার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন চাওয়া হয়নি।

এছাড়া একই ব্যক্তিকে কোম্পানির ট্যাক্স কনসালট্যান্ট ও ট্যাক্স অ্যাডভাইজার নিয়োগে কোনো সুযোগ নেই। আয়কর পরামর্শককে একই সঙ্গে আয়কর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ ও ফি প্রদান বেআইনি এবং বিধি বহির্ভূত।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৮:২০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ মার্চ ২০২২

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11356 বার পঠিত)

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।