বিবিএনিউজ.নেট | বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০১৯ | প্রিন্ট | 613 বার পঠিত
২০১৮ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের নিট মুনাফা ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৮ সালে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় সলো ভিত্তিতে (স্ট্যান্ডঅ্যালোন) নিট মুনাফায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
২০১৮ সালে ২০১৭ সালের তুলনায় ব্যাংকটি সমন্বিত (কনসলিডেটেড ভিত্তিতে) নিট মুনাফায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
২০১৮ সালে ব্যাংকটি স্ট্যান্ডঅ্যালোন ভিত্তিতে ৫৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা কর পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে। ২০১৭ সালে নিট মুনাফা ছিল ৫২৫ টাকা।
২০১৮ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত (কনসলিডেটেড ভিত্তিতে) কর পরবর্তী নিট মুনাফা ৫৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৫৬৭ কোটি টাকা হয়েছে।
তবে স্ট্যান্ডঅ্যালোন ভিত্তিতে অপারেটিং মুনাফা ৯০৫ কোটি টাকা থেকে ৮৮২ কোটি ২০ লাখ টাকায় হ্রাস পেয়েছে। সমন্বিত (কনসলিডেটেড ভিত্তিতে) অপারেটিং মুনাফা ৯৪২ কোটি ২০ লাখ টাকা থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
এছাড়া স্ট্যান্ডঅ্যালোন ভিত্তিতে ২০১৮ সালে ব্যাংকের আর্নিংস পার শেয়ার (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ১৭ পয়সা। ২০১৭ সালে ছিল ৪ টাকা ৯১ পয়সা।
২০১৮ সালে ব্যাংকের সমন্বিত আর্নিংস পার শেয়ার (ইপিএস) বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ১৭ পয়সা। ২০১৭ সালে যা ছিল ৪ টাকা ৮৬ পয়সা।
২০১৮ সালের আর্থিক ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগ বিশ্লেষক এবং পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কর্পোরেট ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান তারেক রিফাত উল্লাহ খান, রিটেইল ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান নাজমুর রহিম, এসএমই ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান সৈয়দ আব্দুল মোমেন, ট্রেজারি ও এফআইএস বিভাগের প্রধান শহীদ ইকবাল এবং ভারপ্রাপ্ত চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আব্দুল ওহাব মিয়া এফসিএসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, গত তিন বছরে ব্যাংকটি যে অর্জন করেছে তা নিয়ে তিনি গর্বিত।
“প্রবল প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসায়িক পরিবেশ ও জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও ব্র্যাক ব্যাংক তার আর্থিক সাফল্য বজায় রেখেছে এবং একটি শক্তিশালী ব্যাংক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।”
“আমরা আমাদের সাম্প্রতিক সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতের জন্য যথাযথভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে দেশের সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া। মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রসেস ও প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা কর্মদক্ষতা, কার্যকারিতা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি এবং ব্যাংককে একটি শক্ত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি।”
“এ সফলতায় আমি গর্বিত। অগ্রগ্রতির যাত্রা সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের সেরা ব্যাংক হওয়ার লক্ষ্যে আমরা ক্রমশ এগিয়ে যেতে চাই।”
Posted ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed