নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১০ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 400 বার পঠিত
বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কমেছে ভ্যাট আদায়। চলতি অর্থবছরের গত দশ মাসেরও বেশি সময় ভ্যাট আদায় হয়েছে ৬৭ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা কম। তাই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই কম সময়ের মধ্যে বড় খাতগুলোর দিকে নজর দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আজ (১০ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে বিভিন্ন শাখায় পাঠানো চিঠিতে ভ্যাট আদায়ে বড় খাতগুলোতে নজর দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এনবিআর থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের আর মাত্র ১ মাস ১৯ দিন অবশিষ্ট আছে। অথচ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভ্যাট এর সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৮ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এদিকে এপ্রিল-২০২০ পর্যন্ত আমাদের আহরিত রাজস্বের পরিমাণ ৬৭ হাজার ৭৫৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। যেখানে গত বছরেও এ খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৮৭ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সমান রাজস্ব আহরণ করতে হলে চলতি বছরের বাকি দুই মাসে ১৯ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করতে হবে।
পক্ষান্তরে, সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে মে ও জুন মাসে এনবিআরকে আহরণ করতে হবে ৪০ হাজার ৮৪০ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আমরা সবাই অবগত আছি। এই পরিস্থিতি এই রকমও থাকতে পারে আবার উন্নতিও হতে পারে। পরিস্থিতি যাই হোক আমাদের এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজনীয় কৌশল নির্ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এ প্রেক্ষাপটে বেশি রাজস্ব প্রদান করে এমন আইটেমের ( সিগারেট, মোবাইল, ব্যাংক, বিকাশ, ইন্টারনেট, মেডিসিন ইত্যাদি) উপর নির্ভর করতে হবে। অর্থাৎ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। এছাড়া উৎসে কর্তিত ভ্যাট আহরণ ও বকেয়া রাজস্ব আদায়ে বিশেষ মনোযোগী হতে হবে।
Posted ১০:৫৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১০ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan