বিশেষ প্রতিবেদক | সোমবার, ১৩ মে ২০১৯ | প্রিন্ট | 1119 বার পঠিত
নানান ঘটনায় আলোচিত পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত নন-লাইফ বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের টাকা ও আইডিআরএর ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় সিএফও বাদল চন্দ্র রাজবংশিসহ ৮ কর্মকর্তা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে রমনা মডেল থানার পুলিশ।
সূত্রে জানা যায়, ১২ মে রাত আনুমানিক ৮ টা ৪০ মিনিটে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির হেড অফিসের স্টিলের ক্যাবিনেটসহ ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে নগদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অডিট কমিটির ৩ টি ল্যাপটপ চুরি হয়। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এন্ড হেড অব এইচআর এন্ড এডমিন আমিন উদ্দিন বাদী হয়ে ৪৬১/৩৮০ পেনাল কোড অনুযায়ী ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং -২৫।
বিষয়টি রমনা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রতিবেদককে বলেন আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।
তবে অনুসন্ধান বলছে, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের চুরির ঘটনাটি পরিকল্পিত। এর আগেও এই কোম্পানির অফিস থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা চুরি হয়েছে। বিষয়টি এখনও তদন্ত চলছে।
প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সিএফও বাদল চন্দ্র রাজবংশি সাম্প্রতি প্রাইম ইন্স্যুরেন্স থেকে চাকরী ছাড়ার কথা হয়েছে। তিনি অন্য একটি বীমা কোম্পানিতে একই পদে জয়েন্ট করারও কথাছিল। তবে সে যেন অন্য কোথাও চাকরী করতে না পারে সে জন্য তাকে চুরির ঘটনায় জড়িয়ে তাতে ফাঁসানো হচ্ছে।
এই বিষয়ে সিএফও বাদল চন্দ্র রাজবংশি প্রতিবেদককে বলেন, আমার বিষয়টি এখনও প্রমানিত হয়নি। তবে পুলিশ তদন্ত করছে। আমাকে যদি কেউ ফাঁসাতে চায় এবং আমার সম্মানের কোন ক্ষতি করতে চায় তাহলে আমি আতœহত্যা করবো।
কোম্পানির মূখ্য নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদী খানম বলেন, চুরির ঘটনা সত্য। আমরা মামলা করেছি, পুলিশ সন্দেহজনক ৮জনকে জিজ্ঞাসা বাদ করতে নিয়ে গিয়েছিল।
বীমা সেক্টরের বিশ্লেষকরা মনে করে এই কোম্পানিটির অফিসে টাকা এবং ৩ টি ল্যাপটপ ছাড়াও আরো গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান জিনিসপত্র ছিল। কিছুই চুরি হয়নি শুধু আইডিআরএর অডিট কমিটির ল্যাপটপ চুরি হওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক। তারা মনে করেন এই ল্যাপটপে এমন কিছু জরুরী ডুকুমেন্ট ছিল যা প্রকাশ্যে গায়েব করতে না পেরে এমন একটি নাটক সাজিয়ে গায়েব করেছে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাকিউল্লাহ শহিদ ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা পারভিন তিশা প্রায় সময়ে সন্ধ্যার পরে অফিসে আসেন। চেয়ারম্যানের আসার কারনে অনেক সময় সন্ধ্যার পরেও অফিস খোলা রাখতে হয়। এই কারনে চুরি করার সুযোগ পেয়েছে চোরেরদল । এই বিষয়ে কোম্পানির সিইও মোহাম্মদী খানম বলেন, চেয়ারম্যান স্যার আসেন অফিসে তবে আমার সাথে কোন কাজ থাকে না কোম্পানি সচিব এনামুল হকের সাথে কাজ থাকে।
Posted ৬:৩১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৩ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed