আব্দুল্লাহ ইবনে মাস্উদ | বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট | 598 বার পঠিত
ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পুনঃতফসিল নীতিমালার যে সার্কুলার জারি করেছিল, সেটা অবশেষে কার্যকর হচ্ছে। সার্কুলার অনুযায়ী খেলাপিরা ঋণ পরিশোধে টানা ১০ বছর সময় পাবেন।
জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সার্কুলারটি পরিপালন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নির্দেশনার ফলে আগামী দুই মাস ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা নিতে পারবেন ঋণখেলাপিরা। তবে এই দুই মাস নতুন করে কোনও ঋণ পাবেন না তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঋণখেলাপিরা মাত্র দুই শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবেন। পুনঃতফসিল হওয়া ঋণ পরিশোধে তারা সময় পাবেন টানা ১০ বছর। ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরাও এই সুযোগ পাবেন। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ঋণখেলাপিদের প্রথম এক বছর কোনও কিস্তিও দিতে হবে না। আর চিহ্নিত এই ঋণখেলাপিদের গুনতে হবে ৯ শতাংশেরও কম সুদ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করেছে। তাতে প্রকৃত ঋণখেলাপিদের খেলাপি বলা যাবে না। আরেক সার্কুলারে ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যত খেলাপি হয়েছেন, তারা সবাই মাত্র ২ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে দশ বছরের জন্য নিয়মিত হতে পারবেন।
তার মতে, যারা নিয়মিত ব্যাংকের টাকা ফেরত দেন, তাদের চেয়ে খেলাপিদের সুযোগ বেশি থাকায় ব্যাংকে খেলাপির পরিমাণ বেড়ে এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
এর আগে গত ১৬ মে খেলাপিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এই সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করলে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ওই সময় এই সার্কুলারের ওপর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন স্থিতাবস্থা জারি করেন। তবে, গত ৮ জুলাই হাইকোর্ট ডিভিশনের স্থিতাবস্থার ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ২ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। যে কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার অবশেষে কার্যকর হচ্ছে।
Posted ১১:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed