বিবিএনিউজ.নেট | বুধবার, ২৬ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট | 645 বার পঠিত
তালিকাভুক্ত কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে স্বচ্ছতা, অন্তর্নিহিত তাৎপর্য এবং নিরীক্ষা যোগ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। আর্থিক প্রতিবেদন দেখে যাতে কোম্পানিতে কী ঘটছে অথবা কী ঘটতে যাচ্ছে তা বোঝা যায়। এ জন্য প্রয়োজন সাসটেইনেবল (টেকসই) রিপোর্ট তৈরি। আর এ রিপোর্ট তৈরিতে স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রণ নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘প্রিপেয়ারিং-এ সাসটেইন্যাবিলিটি রিপোর্ট’ শীর্ষক এক ওয়ার্কশপে বক্তরা এসব কথা বলেন। নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) যৌথভাবে এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার বালা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাউথ এশিয়া গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভের পরিচালক ড. অদিতি হালদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এ এম মাজেদুর রহমান।
অধ্যাপক স্বপন কুমার বালা বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে হিসাবরক্ষণ গবেষকরা তিনটি প্রধান বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো টেকসই খরচ, প্রাকৃতিক মূলধন হিসাব এবং ইনপুট আউটপুট বিশ্লেষণ। এ জন্য তিনটি বিষয় যেমন- স্বচ্ছতা, অন্তর্নিহিতা ও নিরীক্ষা যোগ্যতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। চলমান উদ্বেগ এবং ইএমজি ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং সাসটেইনেবল রিপোর্টিংয়ের ওপর নির্দেশিকা নিশ্চিত করার মাধ্যমে চলমান উদ্বেগের একটি বড় অংশ নিশ্চিত করা যায়। এটি আরও সহায়ক হবে যদি জিআরআই ডিএসইয়ের তালিকাভুক্ত কোম্পানির প্রস্তুতকৃত সাসটেইনেবল রিপোর্ট পর্যালোচনা করতে পারে।
ডিএসইর এমডি মাজেদুর রহমান বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং জিআরআই ২০১৮ সালের ২০ মে একটি চুক্তিতে প্রবেশ করে। যাতে পারষ্পরিক সুবিধাগ্রহণ করতে পারে যেমন- অংশীদারিত্ব, স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা বৃদ্ধি, তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য সেমিনার এবং প্রশিক্ষণের আয়োজন। জিআরআই প্রতিষ্ঠার পর থেকে মুনাফার দিক থেকে বিশ্বের ৯৩ শতাংশ বৃহত্তর কোম্পানির তিন চতুর্থাংশ সাসটেইনেবল রিপোর্ট তৈরিতে জিআরআইয়ের কাঠামো ব্যবহার করে। জিআরআই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী রিপোর্ট ও পরিবেশ রক্ষায় ডিএসইর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে সমর্থনের জন্য এবং গভার্ন্যান্স ও স্টেকহোল্ডারদের সম্পর্কের উন্নয়ন, খ্যাতি এবং বিশ্বাস বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নের জন্য ডিএসই ইতোমধ্যে সাসটেইনেবল রির্পোটিংয়ের ওপর নির্দেশিকা চালু করেছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে এটি অনুসরণ করার জন্য স্বাগত জানিয়েছে।
সাউথ এশিয়া গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভের পরিচালক ড. অদিতি হালদার বলেন, সাসটেইনেবল রিপোর্ট তৈরি এবং এটি প্রচারে দক্ষতা ও পারদর্শিতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ১১০টি দেশ জিআরআই স্ট্যান্ডার্ডগুলো নিয়ে কাজ করছে এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো একসাথে কাজ করলে এ কাজগুলো আরও সহজ হয়ে যায়।
Posted ৩:৫২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৬ জুন ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed