শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x
রেগুলেটরি রিপোর্টিং রিকোয়ারমেন্টস ফর ব্যাংকস বিষয়ক ওয়ার্কশপ

তথ্য প্রদানে ব্যাংকারদের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

আদম মালেক   |   সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   428 বার পঠিত

তথ্য প্রদানে ব্যাংকারদের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ‘রেগুলেটরি রিপোর্টিং রিকোয়ারমেন্টস ফর ব্যাংকস’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রতিবেদনে বলা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাহিদামাফিক সঠিকভাবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন বা তথ্য দেওয়ার জন্য ব্যাংকারদের এ সংক্রান্ত সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। ব্যাংকিংয়ে নতুন কমপ্লায়েন্স পরিপালন এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনামাফিক তথ্য দক্ষ ব্যাংকার ছাড়া দেওয়া সম্ভব নয়। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমি এবং বিআইবিএমকে উদ্যোগ নিতে হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বোর্ড সদস্যদেরও এ সংক্রান্ত সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।

আজ সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘রেগুলেটরি রিপোর্টিং রিকোয়ারমেন্টস ফর ব্যাংকস’ শীর্ষক বার্ষিক পর্যালোচনা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী; সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের মহাপরিচালক মো. নাজিমুদ্দিন। তিনি সঠিক এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর রিপোর্টিংয়ের ওপর জোর দেন।

কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। ৮ সদস্যের গবেষণা দলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- বিআইবিএমের অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আরিফুজ্জামান, এএসএম শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মোহামম্মদ সাইফুল ইসলাম।

কর্মশালার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন উদ্দেশ্যে রেগুলেটরি রিপোর্ট চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক বিশ্লেষণ করে ব্যাংকিং খাতের সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি নজরদারিতে ভ‚মিকা রাখে। তিনি বলেন, বিভিন্ন দিক বিবেচনায় রেগুলেটরি রিপোর্টিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণার মধ্য দিয়ে যেসব সমস্যা চিহ্নিত হবে তা পরবর্তীতে বিবেচনা করা হয়।

বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, ব্যাংকিং খাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে এজন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা প্রয়োজন। ব্যাংক কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ জোরা দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, তথ্য ব্যবস্থাপনা সহজ হতে হবে। প্রত্যেক কর্মীকে স্বচ্ছতার সঙ্গে তথ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, রিপোর্টিংয়ের সত্যতা বজায় রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে প্রত্যেক ব্যাংককে দক্ষতা এবং সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ব্যাংকগুলো কোনোভাবেই যেন কমপ্লায়েন্সে ছাড় না দেয়। কমপ্লায়েন্স পরিপূরণ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে, কোনোভাবেই তা ব্যয় হিসেবে দেখা ঠিক হবে না।

সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোখলেসুর রহমান বলেন, প্রযুক্তি খাতে অর্থ ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে দেখা উচিত। এতে ব্যাংকিং খাত লাভবান হবে।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:৩০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২২ জুলাই ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।