নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৩ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 622 বার পঠিত
বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পার্সেল এক্সপ্রেস সার্ভিস। তিনটি ট্রেনের মধ্যে একটি ঢাকা-খুলনা রুটে চালানোর সিদ্ধান্ত থাকলেও শুক্রবার (০১ মে) চালুর প্রথমদিন থেকে রোববার (৩ মে) পর্যন্ত ট্রেনটি একবারও যাত্রা করতে পারেনি। ইঞ্জিন স্টার্ট হওয়ার আগেই বন্ধ ঘোষণা করা হলো খুলনা রুটের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ পণ্যবাহী ট্রেন।
তিনদিন চললেও সোমবার (৪ মে ) থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম রুটের পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন আর চলবে না বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। মাত্র তিনদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেল সদ্য চালু হওয়া পণ্যবাহী ট্রেনের এই বিশেষ সার্ভিস।
কারোনার এই সময় খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১ মে থেকে চালু করা হয় পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন। এই ট্রেনের মাধ্যমে প্রান্তিক চাষিরা তাদের উৎপাদিত পণ্য কোনো মধ্যসত্ত্বভোগী ছাড়াই সরাসরি ঢাকায় বিক্রি করতে পারবেন। এতে একদিকে যেমন কৃষকরা নায্য দাম পাবেন অন্যদিকে খাদ্য সংকটও কাটবে এমন উদ্দেশ্য থেকে চালু হলেও তিনদিনের মাথায় বন্ধ হয়ে গেল পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস।
খুলনা থেকে একদিনও চালানো সম্ভব হয়নি কৃষিপণ্য পরিবহনের জন্য বিশেষ এই ট্রেন সার্ভিস।
খুলনা স্টেশনের ম্যানেজার বুলবুল জানান, কৃষক, খামারি কিংবা প্রান্তিক চাষিদের উৎপাদিত শাকসবজি, ফলমূল ধান চাল পরিবহনের জন্য পার্সেল এক্সপ্রেস চালু করা হলেও খুলনা স্টেশনে এক কেজি বেগুন নিয়েও কোনো কৃষক আসেনি। ফলে তিনদিন অপেক্ষা করা হয়, কিন্তু এই সময়ের মধ্যে পণ্যপরিবহনে চাষি তো দূরের কথা অন্য কোনো ব্যবসায়িক পণ্য নিয়েও স্টেশনে আসেনি ট্রেন। ফলে ৩ মে খুলনা ঢাকা রুটের বিশেষ পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তিনি জানান, স্থানীয় খামারি কৃষক কিংবা ব্যবসায়ীরা জানেনই না এই ট্রেন সম্পর্কে। ফলে কেউ আসেনি পণ্য নিয়ে। হুট করে এমন সিদ্ধান্ত না নিয়ে আরও স্থানীয় পণ্য উৎপাদনকারীদের সঙ্গে পূর্বেই আলোচনা করার দরকার ছিল।
তিনি বলেন, চালু হওয়ার আগে এই সার্ভিস সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা হয়নি। ছিল না কোনো প্রচার প্রচারণা। ফলে মানুষ আগ্রহী হয়নি খাদ্যপণ্য কিংবা ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহনে। তাই বাধ্য হয়েই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এই পার্সেল ট্রেনের বিশেষ সার্ভিস।
Posted ১০:৪৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan