শনিবার ৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে ব্যাংক সুদ মাফ করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ০৩ মে ২০২০   |   প্রিন্ট   |   369 বার পঠিত

‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে ব্যাংক সুদ  মাফ করা হবে’

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলে দিলে ব্যাংক সুদ  মওকুফ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী-ঘোষিত প্রণোদনার টাকা ধাপ্পাবাজি করে নেওয়ার সুযোগ নেই।
নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, কোভিড-১৯-কে কেন্দ্র করে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ঋণের সুদ কী করে মাফ করা যায়! টাকা কার? টাকা তো জনগণের। বেশির ভাগ টাকাই তো জনগণের। স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারদের ৩০-৪০ শতাংশ। বাকি ৬০-৭০ শতাংশ সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের। আর প্রায় ৮০ শতাংশ টাকাই তো জনগণের। তারা তো লাভের বিনিময়েই টাকা রেখেছেন, তাই না! আমরা যদি সুদ মাফ করে দিই তাহলে আমনাতের সুদ দেব কীভাবে? এরপর কর্মীদের বেতন। বাড়ি ভাড়া। অন্যান্য খরচ কীভাবে দেব? আমরাও তো ব্যবসা করি। এটা করলে ব্যাংক তো দেউলিয়া হয়ে যাবে। এ দাবিটা ন্যায়সম্মত নয়। আমি তো ব্যবসা করি। আমারও তো ১০-১২টি ব্যাংক থেকে লোন নিতে হয়েছে, তবে বিশেষ কোনো কেইসে এটা হতে পারে। যেমন কোনো লোক মারা গেছে, আগুন লেগে সব পুড়ে গেছে, কোনো দুর্যোগে সব নষ্ট হয়ে গেছে, তখন এটা হতে পারে। আমি তো ব্যবসায়ী আবার ব্যাংকের পরিচালক। আমরা কীভাবে করব?

তিনি বলেন, তবে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে অবশ্যই আমরা সুদ মওকুফ করব। সরকার নিশ্চয়ই অন্য কিছু ভাবছে। সরকার হয়তো র্ভর্তুকি দেবে। তাহলে আমরা সুদ মওকুফ করে দিতে পারব। যেমন ব্রিটিশ সরকার বলছে তারা বেইলআউট করবে। এটাই একটা প্রক্রিয়া আছে। আরেকটা হতে পারে, যে পরিমাণ সুদ আমরা মাফ করব তা যদি সরকার আমাদের (ব্যাংকগুলোকে) প্রণোদনা হিসেবে দিয়ে দেয় তাহলে তা করা সম্ভব। এটা তো এত সহজে সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রী হয়তো এমন কিছু একটা ভাবছেন। তিনি একজন বিচক্ষণ মানুষ। এত দিন ধরে দেশ চালাচ্ছেন। আমাদের যদি ভর্তুকি দেওয়াও হয় কত টাকা দেবে সরকার। এটা বিরাট অঙ্কের টাকা হবে। কেননা এখন তো সবই বন্ধ। শুধু খাবারের ব্যবসা ছাড়া কিছুই চলছে না। সেগুলোও ঠিকমতো চলছে না।

নজরুল ইসলাম বলেন, যারা টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেরত দিচ্ছেন না তাদের অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করা হচ্ছে বলে অর্থমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন। তারা তো ঋণ পাবেনই না। বরং তাদের যে সম্পদ আছে তা বিক্রি করে টাকা তোলা হবে। আমি চাই ঋণখেলাপিদের কঠোর শাস্তি হোক। খেলাপিরা কোনোভাবেই এ সুবিধা পাবেন না। যারা টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেরত দিচ্ছেন না তাদের ফাঁসি দিলেও তো টাকা আসবে না। কিন্তু শাস্তির একটা ব্যবস্থা তো থাকতে হবে। তাকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। দেউলিয়া আইন পাস করে ওই লোককে দেউলিয়া ঘোষণা করা উচিত। এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব অবশ্যই। যাদের সিআইবি রিপোর্ট খারাপ তারা কোনোভঅবেই টাকা পাবে না। তাদের টাকা দিতে কোনো এমডিই সাহস করবে না। কার এত সাহস আছে যে খেলাপিদের আবার নতুন করে টাকা দেবে।

Facebook Comments Box
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৪:৪৯ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ মে ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।