নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১ | প্রিন্ট | 496 বার পঠিত
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১১ কোম্পানির মধ্যে ৯টি এখনও পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা বাকি রয়েছে। পর্ষদ পুনর্গঠনের কর্মপরিকল্পনা অংশ হিসেবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থতার জন্য ১১টি কোম্পানির পদস্থ কর্মকর্তাদের
তলব করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।।
গত ২৫ মে, মঙ্গলবার থেকে ওই কোম্পানিগুলোর এ শুনানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোম্পানিগুলোর এ শুনানি কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে ৯ জুন পর্যন্ত চলবে।
শুনানি কার্যক্রমে কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদকে তলব করেছে বিএসইসি। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এবং কোম্পানি সচিব কেও (সিএস) ডাকা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ও ২০১৯ সালের ২১ মে জারি করা নির্দেশনা অনুযায়ী পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের মোট পরিশোধিত মূলধনের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ ধারণ করার বিধান রয়েছে। তবে তালিকাভুক্ত ১১ কোম্পানি ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে ব্যর্থ হযেছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে পরিশিাধিত মূলধনের ৭.৩৩ শতাংশ রয়েছে ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির, ১২.০৪ শতাংশ রয়েছে অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের, ১২.৭৮ শতাংশ রয়েছে আল-হাজ্জ টেক্সটাইল মিলসের, ১৮.০৭ শতাংশ রয়েছে ডেল্টা স্পিনার্সের, ৪.০১ শতাংশ রয়েছে ফ্যামিলিটেক্স বিডির, ৬.৩৮ শতাংশ রয়েছে ফাইন ফুডসের, ৭.৮৫ শতাংশ ফু-ওয়াং ফুডসের, ১৩.৮২ শতাংশ রয়েছে জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনসের, ১৭.২০ শতাংশ রয়েছে মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের, ২২.৪১ শতাংশ রয়েছে সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ও ১২.০১ শতাংশ রয়েছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের।
সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশ ধারণ না করায় ওই ১১টি কোম্পানি ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর ও ২০১৯ সালের ২১ মে বিএসইসির জারি করা নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে। এই অনিয়মের ব্যাখা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদকে ডেকেছে বিএসইসি। এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তগুলো পরিচালনা পর্ষদকে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ধারা ১১(২) অনুযায়ী কোম্পানিগুলোতে এ নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি। বিষয়টি দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালককেও অবহিত করা হয়েছে।
গত ২৭ মে, বৃহস্পতিবার বিকেলে অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রির শুনানি হয়।
এছাড়া আল-হাজ্জ টেক্সটাইল মিলস, ডেল্টা স্পিনার্স, ফ্যামিলিটেক্স বিডি, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং ফুডস, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডাইং, সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ও সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজকে বিভিন্ন দিনে শুনানির জন্য ডাকা হয়েছে।
এর আগে ২০১০ সালে শেয়ারবাজার ধস পরবর্তী বাজারকে গতিশীল করতে ২০১১ সালে সম্মিলিতভাবে ও ন্যূনতম শেয়ারধারণের নির্দেশনা জারি করে বিএসইসি। তবে দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু কোম্পানি বিএসইসির এ নির্দেশনা মানছিল না। এমন পরিস্থিতিতে গতবছর মে মাসে বিএসইসি তথা পুঁজিবাজারের হাল ধরা অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃতত্বাধীন কমিশন এ নির্দেশনাটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ২২টি কোম্পানি ওই নির্দেশনা পরিপালন করলেও ২১টি কোম্পানি তা মানেনি। ফলে গত বছরের ২৫ নভেম্বর বিএসইসির ৭৫০তম কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর পর্ষদ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে বিএসইসি। ইতোমধ্যে ২১টি কোম্পানির মধ্যে ৪টির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। বাকি ১৭টি কোম্পানির পর্ষদ ধারাবাহিকভাবে পুনর্গঠিত করা হবে।
পর্ষদ পুনর্গঠন হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- আল-হাজ্জ টেক্সটাইল মিলস, ফ্যামিলিটেক্স বিডি, অগ্নি সিস্টেমস ও সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল।
পর্ষদ পুনর্গঠনের প্রক্রিয়াধীন কোম্পানিগুলো হলো- সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সালভো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ডেল্টা স্পিনার্স, ফাইন ফুডস, ফু-ওয়াং ফুডস, ফু-ওয়াং সিরামিক, অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং, নর্দার্ণ জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি, অলিম্পিক অ্যাকসেসরিজ, ফার্মা এইডস, ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশনস ও পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স।
Posted ১১:২০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ মে ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan