আদম মালেক | মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯ | প্রিন্ট | 617 বার পঠিত
বেসিক ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) যোগদান নিশ্চিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভূমিকা দুর্বল। প্রতিষ্ঠানটি এমডি নিয়োগে শুধু অনুমোদন দিয়েই ক্ষান্ত। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও শক্ত ভূমিকা রাখতে হবে। প্রয়োজনে নব নিযুক্ত এমডি রফিকুল আলমের পরিবর্তে আবারও নতুন করে এমডির জন্য বেসিক ব্যাংকের প্রস্তাবনা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন ব্যাংকিং খাত পর্যবেক্ষকরা।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বেসিক ব্যাংকের এমডির নিয়োগ পর যোগদান না করা ব্যাংকটির জন্য শুভ নয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের কাছে রফিকুল আলমের যোগদান না করার কারণ জানবে। সন্তোষজনক উত্তর না পেলে আবারও নতুন এমডির জন্য প্রস্তাবনা চাইবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা এ বি আজিজুল ইসলাম মনে করেন, দীর্ঘদিন পর নিয়োগ পেয়েও বেসিক ব্যাংকের এমডি যোগদান না করায় ব্যাংকটি সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এ সঙ্কট উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংককে বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে নতুন পদক্ষেপ নিতে হবে।
সূত্র জানায়, বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আউয়াল খান ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপর এমডির জন্য দুবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও কেউ ব্যাংকটিতে আসতে চায়নি। পরবর্তীতে নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ কমিটি রফিকুল আলমসহ ৩ জনের নাম অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ২৫ জুন রফিকুল আলমকে ব্যবস্থা পরিচালক হিসেবে মনোনীত করার বিষয়টি বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে জানায়। পরের দিন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তার নিয়োগ অনুমোদন হয়। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও অনুমোদন দিয়ে দেয়া হয়েছে অথচ রফিকুল আলম আজও যোগদান করেননি।
জানা গেছে, সম্মানজনক বেতন প্রস্তাব না করায় বেসিক ব্যাংকের সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম যোগদান করেননি। গত ৭ জুলাই তিনি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে যোগদান না করে ফিরে আসেন। একই সঙ্গে বেতন পুনর্বিবেচনার জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন।
সূত্র মতে, রফিকুল আলমের বেতন ধরা হয় সর্বসাকুল্যে ৩ লাখ টাকা। এর আগের এমডির বেতন ছিল ৪ লাখ টাকা। আগের এমডির বেতনের তুলনায় কম বেতন ধরার কারণ হিসেবে পর্ষদ ব্যাংকের খরচ কমানোর যুক্তি দিয়েছে। ব্যাংকের বর্তমান উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) কনক কুমার পুরকায়স্থের বেতন ৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। বেসিক ব্যাংকের সার্ভিস রুলেই রয়েছে এমডির বেতন ডিএমডির তুলনায় বেশি হবে। এ ছাড়া এই ব্যাংকে তিন মহাব্যবস্থাপক রয়েছেন, যাদের বেতন ৩ লাখ টাকার ওপরে। তিন মহাব্যবস্থাপকের বেতন ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৭০ টাকা করে।
বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আলমের কর্মস্থলে যোগদান না করার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) কনক কুমার পুরকায়স্থ বলেন, রফিকুল আলম অচিরেই যোগদান করবেন। ব্যাংকের দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী, কোনো বাংকের এমডি পদ কোনোভাবেই তিন মাসের বেশি শূন্য রাখা যাবে না। তিন মাসের মধ্যে এমডি পদ পূরণ করতে না পারলে ওই ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক।
Posted ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed