বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

মহামারিতে ফুলেফেঁপে উঠছে ভিয়েতনামের ই-কমার্স

বিবিএনিউজ.নেট   |   সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০   |   প্রিন্ট   |   344 বার পঠিত

মহামারিতে ফুলেফেঁপে উঠছে ভিয়েতনামের ই-কমার্স

এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল ই-কমার্সের অন্যতম একটি হলো ভিয়েতনাম। এর পেছনে চালিকা শক্তি হিসেবে আছে একটি তরুণ জনগোষ্ঠী, একটি উঠতি মধ্যবিত্ত শ্রেণি এবং উদীয়মান ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা। করোনাভাইরাস মহামারি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কারণে দেশটির ই-কমার্স ব্যবসা আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। ফলে, ২০২০ সালে ভিয়েতনামের ই-কমার্স বিক্রি ৩০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৩.১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে বলে এক সমীক্ষায় জানিয়েছে তথ্য ও বিশ্লেষণভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবালডেটা।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, যৌগিক বার্ষিক বৃদ্ধির হার (সিএজিআর) অনুযায়ী ২০২০ থেকে ২০২৪ এর মধ্যে দেশটির ই-কমার্স বিক্রির হার ১৮.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আর্থিক হিসাবে ২৬.১ বিলিয়ন ডলার।

এ প্রসঙ্গে গ্লোবালডেটার জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক কার্তিক চাল্লা বলেন, ‘মহামারি পরিস্থিতি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয় তৈরি করায় ভোক্তাদের আচরণে পরিবর্তন এসেছে। শপিং সেন্টারে যাওয়া ব্যাপক মাত্রায় পরিহার করা হচ্ছে। এর বদলে ভোক্তারা তাদের প্রতিদিনের কেনাকাটায় অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ বোধ করছেন। অনলাইনে পন্যের সহজলভ্যতার কারণে এ সময় শুধু অনলাইন বিক্রিই বাড়েনি, বরং বিভিন্ন অফলাইন বিক্রেতারাও অনলাইন ব্যবসায় এসেছে।’

ই-কমার্স বিক্রি বাড়াতে ভিয়েতনাম সরকারও বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এ বছরের মে মাসে তারা ২০২১-২৫ সালের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী জাতীয় ই-কমার্স উন্নয়ন পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে। এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য- স্থানীয় পর্যায়ে ই-কমার্স ব্যবসা ত্বরান্বিত করা। সেই সাথে ভোক্তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অবকাঠামো ও সংশ্লিষ্ট সহায়তা সেবাগুলোর মানোন্নয়ন করা।

এন্ট্রিপ্রিনিওর ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামের সকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের আয়োজনে ‘সিঙ্গেলস’ ডে সেল’ এর মতো কর্মসূচীগুলোর মাধ্যমেও ই-কমার্স বিক্রি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

চাল্লা বলেন, ‘পন্যের মূল্য পরিশোধে নগদ টাকা, কার্ড ও ব্যাঙ্ক লেনদেনের মতো প্রচলিত পদ্ধতিগুলো যেমন ব্যবহার করা হচ্ছে তেমনি বিকল্প পদ্ধতিগুলোও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পেপ্যাল, মোমো ও নান লুং এর মতো বিকল্প পদ্ধতিগুলো ধীরে ধীরে জায়গা করে নিচ্ছে। ২০২০ সালে এই তিনটির মাধ্যমে লেনদেনের সম্মিলিত পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মোট লেনদেনের ১৩.৮ শতাংশে।’

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৩:৩০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11387 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।