রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

৩০ দিনের মধ্যে লভ্যাংশ প্রদানে নির্দেশনা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২১   |   প্রিন্ট   |   246 বার পঠিত

৩০ দিনের মধ্যে লভ্যাংশ প্রদানে নির্দেশনা জারি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ঘোষিত লভ্যাংশ চূড়ান্ত অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের প্রদান বাধ্যবাদকতা রেখে নির্দেশনা জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর মিউচুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ট্রাস্টির অনুমোদনের ৪৫ দিনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের বুঝিয়ে দিতে হবে। তবে কেউ লভ্যাংশ দাবি না করলে বা অপরিশোধিত থাকলে তা তিন বছর পরে কমিশনের নির্দেশিত ফান্ডে হস্তান্তর করতে হবে।

এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এতে সই করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইস্যুয়ার কোম্পানি লভ্যাংশ বিতরণের জন্য পলিসি গঠন করবে। যা বার্ষিক প্রতিবেদন ও কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। কোম্পানিগুলোকে বার্ষিক বা চূড়ান্ত লভ্যাংশ অনুমোদনের ৩০ দিনের মধ্যে এবং অন্তর্র্বতীকালীন লভ্যাংশ রেকর্ড ডেটের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে শেয়ারহোল্ডারদের প্রদান করতে হবে। আর মিউচুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ট্রাস্টির অনুমোদনের ৪৫ দিনের মধ্যে প্রদান করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, পরিচালনা পর্ষদ বা ট্রাস্টির ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে নগদ লভ্যাংশ পৃথক ব্যাংক হিসাবে রাখতে হবে। এই নগদ লভ্যাংশ বিইএফটিএন’র মাধ্যমে শেয়ারহোল্ডার বা ইউনিটহোল্ডারের ব্যাংক হিসাবে সরাসরি প্রদান করবে।

‘তবে স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার বা পোর্টফলিও ম্যানেজার মার্জিন ঋণগ্রহীতা গ্রাহক বা ডেবিট ব্যালেন্সের জন্য নগদ লভ্যাংশ চাইলে, কোম্পানি সমন্বিত কাস্টমারস ব্যাংক হিসাবে বা মার্চেন্ট ব্যাংক বা পোর্টফলিও ম্যানেজারের পৃথক ব্যাংক হিসাবে বিইএফটিএনের মাধ্যমে পাঠাবে’ বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিএসইসির এ নির্দেশনায় প্রবাসী উদ্যোক্তা, পরিচালক, শেয়ারহোল্ডার, ইউনিটহোল্ডার ও ফরেন পোর্টফলিও ইনভেস্টরদেরকে সব আইনকানুন মেনে সিকিউরিটি কাস্টডিয়ানের মাধ্যমে ইস্যুয়ারকে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে। নগদ লভ্যাংশ প্রদানের বিষয়টি শেয়ারহোল্ডার বা ইউনিটহোল্ডারদেরকে মোবাইলে এসএমএস বা ই-মেইলের মাধ্যমে জানাবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি।

যদি শেয়ারহোল্ডার বা ইউনিটহোল্ডারের ব্যাংক হিসাবের তথ্যের ঘাটতির কারণে বা বিইএফটিএন-এর মাধ্যমে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা সম্ভব না হয়, তাহলে ইস্যুয়ার কোম্পানিকে ‘ক্যাশ ডিভিডেন্ড ওয়ারেন্ট’ পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে নির্দেশনায়।

এরপরেও যদি কোম্পানিতে অপরিশোধিত বা অদাবিকৃত নগদ লভ্যাংশ থাকে তাহলে লভ্যাংশ ঘোষণার বা রেকর্ড ডেটের এক বছরের মধ্যে লভ্যাংশের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গঠিত পৃথক ব্যাংক হিসাবে ওই নগদ লভ্যাংশ স্থানান্তর করতে হবে। তার আগে বার্ষিক প্রতিবেদনে ও প্রান্তিক প্রতিবেদনে ‘আনক্লেমড ডিভিডেন্ড একাউন্ট’ (দাবিবিহীন লভ্যাংশ হিসাব) শিরোনামে প্রকাশ করতে হবে।

এদিকে বোনাস শেয়ার ঘোষণার বা অনুমোদনের বা রেকর্ড ডেটের ৩০ দিনের মধ্যে ইস্যুয়ার কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারের বিও হিসাবে ক্রেডিট করবে বা বোনাস শেয়ার সার্টিফিকেট ইস্যু করবে। বোনাস শেয়ার প্রদানের লক্ষ্যে ইস্যুয়ার শেয়ারহোল্ডারকে কমপক্ষে তিনবার রিমাইন্ডার দেবে। তবে এরপরও অপরিশোধিত ও অদাবিকৃত বোনাস শেয়ারের জন্য সান্সপেন্স বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করবে ইস্যুয়ার।

লভ্যাংশ বিতরণের সাত কার্যদিবসের মধ্যে ইস্যুয়ার কমিশন ও স্টক এক্সচেঞ্জে কমপ্লাইয়েন্স রিপোর্ট জমা দেবে। যা কোম্পানির ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ইস্যুয়ার অপরিশোধিত বা অদাবিকৃত নগদ লভ্যাংশ বাজেয়াপ্ত করতে পারবে না। এছাড়া এ জাতীয় নগদ লভ্যাংশ তিন বছর পরে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দেশিত ফান্ডে হস্তান্তর করতে হবে। এই হস্তান্তরের সময় ইস্যুয়ার বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করবে। তবে হস্তান্তরের পরে যদি কেউ লভ্যাংশ দাবি করে, তাহলে ইস্যুয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তা যাচাই করে ফান্ড ম্যানেজারকে প্রদানের জন্য সুপারিশ করবে। এরপরে ফান্ড ম্যানেজার সেটা দাবিকারীকে প্রদান করবে।

একইভাবে তিন বছরের বেশি সময় অপরিশোধিত বা অদাবিকৃত থাকা বোনাস শেয়ার কমিশনের নির্দেশিত ফান্ডের বিও হিসাবে হস্তান্তর করতে হবে। এরসঙ্গেও বিস্তারিত তথ্য দিবে ইস্যুয়ার। তবে হস্তান্তরের পরে যদি কেউ লভ্যাংশ দাবি করে তাহলে ইস্যুয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তা যাচাই করে ফান্ড ম্যানেজারকে প্রদানের জন্য সুপারিশ করবে। এরপরে ফান্ড ম্যানেজার তা দাবিকারীকে প্রদান করবে।

এদিকে শেয়ারহোল্ডার বা ইউনিটহোল্ডারের মাঝে লভ্যাংশ বিতরণের জন্য ইস্যুয়ার বিও হিসাব, ব্যাংক হিসাব, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল ও ঠিকানার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে রাখবে। এসব তথ্যের গোপনীয়তা রাখতে হবে।

এছাড়া সিডিবিএল ও ডিপি শেয়ারহোল্ডার বা ইউনিটহোল্ডারের বিও হিসাব, ব্যাংক হিসাব, মোবাইল নাম্বার, ইমেইল ও ঠিকানার তথ্য বছরে কমপক্ষে একবার আপডেট করবে। একইসঙ্গে সঠিকভাবে লভ্যাংশ বিতরণের জন্য সিডিবিএল ওই আপডেট তথ্য ইস্যুয়ার কোম্পানিকে দেবে।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।