নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট | 324 বার পঠিত
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে পুঁজিবাজারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিগুলো হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং রবি আজিয়েটা। এছাড়া এক মাসে যেসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে সেসব কোম্পানির বিষয়ে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তবে শুধু মূল্য বৃদ্ধি নয়, ‘অস্বাভাবিক’ মূল্য হ্রাসের বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কোনো কারসাজি বা অস্বাভাবিকতা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিএসইসির উপপরিচালক মোহাম্মদ শামসুর রহমান স্বাক্ষরিত এ–সংক্রান্ত আদেশ আজ মঙ্গলবার স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার (সিআরও) কাছে পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত এক মাসে বেক্সিমকো লিমিটেড, রবি আজিয়াটা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স সহ বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ফিক্সডপ্রাইস পদ্ধতির আইপিওতে বাজারে আসা রবির শেয়ার লেনদেন শুরু হয় গত ২৪ ডিসেম্বর। তখন থেকে প্রতিদিন শেয়ারটির দাম ১০ শতাংশ করে বাড়ছে। আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং মূল্য দাঁড়ায় ৬৩ টাকা ২০ পয়সা, যা আইপিওতে অফার মূল্যের চেয়ে ৫৩ টাকা ২০ পয়সা বেশি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫৩০ শতাংশ।
অন্যদিকে গত এক মাসে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ারের দাম ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা হয়েছে। এক মাসে শেয়ারটির দাম বেড়েছে ১৫৫ শতাংশ।
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ারের দাম ২৩ টাকা থেকে ৪৪ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এক মাসে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯২ শতাংশ।
তবে শুধু শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি নয়, শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ এবং কোম্পানির লাভ-লোকসানে বড় ধরনের পরিবর্তন থাকলে সেগুলোও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে বিএসইসির নির্দেশনায়। এক মাসের মধ্যে কোনো কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ আগের ছয় মাসের গড় লেনদেনের চেয়ে পাঁচ গুণের বেশি বেড়েছে, সেগুলোর লেনদেন বৃদ্ধির কারণ তদন্ত করে দেখতেবলা হয়েছে চেষ্টা করবে স্টক এক্সচেঞ্জকে।
অন্যদিকে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির বার্ষিক বা প্রান্তিক শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫০ শতাংশের বেশি তারতম্য ঘটেছে, তার পেছনের কারণও খতিয়ে দেখার কথা বলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
পাশাপাশি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বা পিএসআই প্রকাশের আগের ১০ কার্যদিবসে যেসব কোম্পানির দাম ও লেনদেন ৩০ শতাংশের কম-বেশি হয়েছে, সেসব কোম্পানির বিষয়েও তদন্ত করবে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত শেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে ৪৫ কার্যদিবস সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বিএসইসি।
Posted ৯:১০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan