বিবিএনিউজ.নেট | মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯ | প্রিন্ট | 527 বার পঠিত
২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার ৩১৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে সোনালী ব্যাংক। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির ঋণ পুনঃতফসিলের পরিমাণ ছিল ২৩২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে ব্যাংকটিতে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল বেড়েছে প্রায় ১০ গুণ।
জনতা ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৪৫২ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। ২০১৭ সালের একই সময়ে এই ব্যাংকটির ঋণ পুনঃতফসিলের অঙ্ক ছিল এক হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা। তবে ঋণ পুনঃতফসিলের প্রবণতা কমেছে অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকে ঋণ পুনঃতফসিলের পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৮৭ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ব্যাংকটিতে ঋণ পুনঃতফসিল কমে ৬৬৬ কোটি টাকায় নেমে আসে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রূপালী ব্যাংকের ঋণ পুনঃতফসিলের পরিমাণ ছিল ৯৪৮ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই ব্যাংকটির ঋণ পুনঃতফসিল কমে ৯১১ কোটি টাকায় নেমে আসে।
গত রোববার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ চার ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করে এসব বিষয়ে তদারকি করেন গভর্নর ফজলে কবির। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বলে নিয়মিতভাবে বৈঠক করে এই ব্যাংকগুলোর আর্থিক ব্যবস্থাপনা তদারকি করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৈঠকে উপস্থাপিত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে সোনালী ব্যাংকের অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ ছিল আট হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বরেও এই পরিমাণ অবলোপনকৃত ঋণই প্রদর্শন করেছিল ব্যাংকটি।
রূপালী ব্যাংক একইভাবে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে এক হাজার ১৯ কোটি টাকা ঋণ অবলোপন দেখিয়েছে।
অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ অবলোপন সামান্য বেড়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে অগ্রণী ব্যাংকের অবলোপনকৃত খেলাপি ঋণ ছিল পাঁচ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ঋণ অবলোপন বেড়ে হয় পাঁচ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণ কমেছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর শেষে জনতা ব্যাংকের অবলোপনকৃত ঋণ ছিল চার হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে অবলোপনকৃত ঋণ কমে হয় চার হাজার ৪২৩ কোটি টাকা।
তথ্য পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে খেলাপি ঋণ থেকে নগদ আদায় বেড়েছে সোনালী ব্যাংকে। ২০১৭-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের বিপরীতে নগদ আদায় ছিল ৭৯৮ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আদায় হয় এক হাজার আট কোটি টাকা।
জনতা, অগ্রণী ও রূপালীতে নগদ আদায় কমেছে। জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের বিপরীতে নগদ আদায় ৪৯১ কোটি টাকা থেকে কমে ২০১৮ সালে ৪৮৪ কোটি টাকা হয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকে ৫৭৬ কোটি টাকা থেকে নগদ আদায় কমে ২০১৮তে দাঁড়ায় ৩১৯ কোটি টাকায়। রূপালী ব্যাংকে নগদ আদায় ২৯৪ কোটি টাকা থেকে কমে ২০১৮তে ১৮৫ কোটি টাকায় নেমে আসে।
২০১৮-এর ডিসেম্বর শেষে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ১২ হাজার ৬১ কোটি টাকা। জনতা ব্যাংকের ছিল ১৭ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। অগ্রণী ব্যাংকের ছিল পাঁচ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল চার হাজার ১৪০ কোটি টাকা।
Posted ১২:২৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed