বিবিএনিউজ.নেট | মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট | 480 বার পঠিত
‘এমটিবি মিউজিয়াম’ নামে বাংলাদেশে প্রথম ব্যাংক মিউজিয়াম চালু করল বেসরকারি মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। সোমবার রাজধানীর বাংলামোটরে এমটিবি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মিউজিয়ামের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও পরিচালক সৈয়দ মনজুর এলাহী। বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারম্যান মো. হেদায়েতুল্লাহ। এছাড়া এমটিবির অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তার মধ্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আনিস এ খান, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দ্র মজুমদার, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রফিকুল হক, গৌতম প্রসাদ দাস, তারেক রিয়াজ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ব্যাংক শুধু লাভ-লসের হিসাব করে না। সমাজ ও দেশ নিয়েও কাজ করে। এর ধারাবাহিকতায় আজ এমটিবি মিউজিয়াম চালু করা হলো। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ২০১৯ পর্যন্ত ২০ বছরে এমটিবির পথচলা এবং অর্জনের ইতিহাস সংরক্ষণ করা হবে এ মিউজিয়ামে।
মিউজিয়ামটিতে প্রতিষ্ঠাকালীন বিভিন্ন সামগ্রী, পরিচালনা পর্ষদ, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, বার্ষিক সাধারণ সভা, বার্ষিক ব্যবসা সম্মেলন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, শাখা, বুথ, এটিএম, কিওস্ক, এয়ার লাউঞ্জ, প্রিভিলেঞ্জ সেন্টারের ছবি সংরক্ষিত থাকবে।
এমটিবি ভবনে পোড়ামাটির তৈরি স্বাধীনতা যুদ্ধের একটি টেরাকোটা উদ্বোধন করা হয়। পাশাপাশি ‘মুজিববর্ষ’ থিম নিয়ে সাজানো ব্যাংকের ২০২০ সালের ক্যালেন্ডারও প্রকাশ করা হয়। ক্যালেন্ডারটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনার চিত্রাঙ্কনে তুলে ধরা হয়েছে।
ছবিগুলো এঁকেছেন দেশের ১২ জন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী। তারা হলেন- হাশেম খান, রফিকুন্নবী, শেখ আফজাল, মো. নাজমুল কবির, জামাল আহমেদ, আব্দুস শাকুর শাহ, নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, মনিরুল ইসলাম, সমীরণ চৌধুরী, প্রদীপ সাহা এবং রোকেয়া সুলতানা।অনুষ্ঠানে সৈয়দ মনজুর এলাহী বলেন, ব্যাংক একটি জাতির মেরুদণ্ড। যে দেশের ব্যাংকের ভিত যত শক্ত সে দেশের অর্থনীতি তত শক্তিশালী। এ জন্য পাকিস্তান আমাদের ব্যাংকের মালিকানায় যুক্ত হতে দিত না। সেই সময় অনেক প্রচেষ্টার পর আমরা দুটি ব্যাংক পাই। বেসরকারি খাতের মালিকানাধীন জহিরুল ইসলাম ও এ কে খান ব্যাংক দুটি প্রতিষ্ঠা করেন।
বঙ্গবন্ধুর সমালোচনাকারীদের সমালোচনা করে প্রবীণ এ শীর্ষ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা বলেন, সবার সমালোচনা করা ঠিক নয়। ভারতে মহাত্মা গান্ধী, পাকিস্তানে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে নিয়ে সে দেশের কেউ সমালোচনা করেন না। তাহলে আমাদের বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেন সমালোচনা হবে? এটি থেকে বের হতে হবে। কারণ, তার (বঙ্গবন্ধু) জন্যই আমরা দেশ পেয়েছি, ব্যাংক পেয়েছি, নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছি।
Posted ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed