শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

সাত মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ৮২ হাজার কোটি টাকা

বিবিএনিউজ.নেট   |   মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০   |   প্রিন্ট   |   403 বার পঠিত

সাত মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ৮২ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশের পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯৬৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে লেনদেনে বাংলাদেশের অবস্থাও ঋণাত্মক রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রফতানি আয় কমায় বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। তবে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে উচ্চ প্রবৃদ্ধি থাকায় কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে বৈদেশিক লেনদেনে।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। বিশ্বের ১০৯টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৭৩৫ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১১৯ জনের। এতে চীনের সঙ্গে বিশ্বের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশসহ অন্যান্য দেশে করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়েছে। এতেও রফতানি বাণিজ্য বড় ক্ষতির মধ্যে পড়বে বাংলাদেশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে দুই হাজার ২৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে তিন হাজার ২০০ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে জানুয়ারি শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯৬৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৮১ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা (বিনিময় হার ৮৫ টাকা ধরে)। ঘাটতির এ অংক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময় ছিল ৯৮৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

আলোচিত সময়ে আমদানি কমেছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। রফতানি কমেছে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকলেও সেপ্টেম্বর থেকে তা ঋণাত্মক হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো।

কিন্তু গত কয়েক বছর উদ্বৃত্তের ধারা অব্যাহত থাকলেও গেল অর্থবছরে ঋণাত্মক ধারায় চলে গেছে। জানুয়ারিতে এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জানুয়ারি শেষে চলতি হিসাবে ১৫১ কোটি ৬০ লাখ ডলার ঋণাত্মক হয়েছে। যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ঋণাত্মক ছিল ৪০৪ কোটি ১০ লাখ ডলার।

তবে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে প্রথম সাত মাসে সামগ্রিক লেনদেনে বাংলাদেশের উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলারে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেনে ৯৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঘাটতি ছিল।

আলোচিত সময়ে সেবাখাতে বিদেশিদের বেতনভাতা পরিশোধ করা হয়েছে ৬৩৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে মাত্র ৪২০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এ হিসাবে সাত মাসে সেবায় বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২১৯ কোটি ১০ লাখ ডলারে। যা গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ১৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আলোচিত সময়ে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৩২২ কোটি ৮০ লাখ ডলার, এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ১৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের চেয়ে এফডিআই বেড়েছে ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ ও নিট বেড়েছে ৩ দশমকি ৯৬ শতাংশ।

এদিকে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ কমে গত বছরের তুলনায় অর্ধেকের বেশি নেমে এসেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে মাত্র তিন কোটি ৮০ লাখ ডলার। যা তার আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ মার্চ ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11389 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।