বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালানে আয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা

  |   বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০   |   প্রিন্ট   |   1137 বার পঠিত

ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালানে আয় সাড়ে ৩ লাখ টাকা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ঐতিহাসিক দিন আজ। দুই দেশের ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে রড ও ডালবোঝাই চারটি কন্টেইনার আগরতলায় পৌঁছেছে।

প্রথম চালানে বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আয় করেছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর পেয়েছে ৩০ হাজার ৮৯৯ টাকা, চট্টগ্রাম কাস্টমস পেয়েছে ১৩ হাজার ১০০ টাকা, জাহাজ ভাড়া বাবদ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি সেঁজুতি’ আয় করেছে প্রায় দেড় লাখ (ডলারের বর্তমান মূল্যমান হিসেবে), চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যাপ্ত গাড়ি ভাড়া বাবদ পাওয়া গেছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া বিভিন্ন চার্জ বাবদ বাংলাদেশ আরও প্রায় ৩০ হাজার টাকা পেয়েছে।

পরীক্ষামূলক প্রথম চালান হিসেবে চারটি কন্টেইনারে করে ৫৩.২৫ মেট্রিক টন রড ও ৪৯.৮৩ মেট্রিক টন ডাল নিয়ে গত ১৪ জুলাই চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি সেঁজুতি। জাহাজটি গত মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে নোঙর করে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ট্রানজিট পণ্য পরিবহন বাবদ ভারতকে আলাদা কোনো মাশুল দিতে হচ্ছে না। এমনকি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের মাশুলও প্রযোজ্য হচ্ছে না এক্ষেত্রে। উপকূলীয় এলাকায় চলাচল করা অন্যান্য জাহাজের মতো ৮টি খাতে মাশুল পাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে প্রথম চালানে বন্দর কর্তৃপক্ষ পাঁচ খাতে মাশুল আদায় করেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মো. জাফর আলম বলেন, ভারতীয় পণ্যের পরীক্ষামূলক প্রথম চালানে চট্টগ্রাম বন্দর হ্যান্ডলিং, ক্রেন চার্জ, রিভার ডিউজ, সিঅ্যান্ডএফের মাশুল ও ভ্যাটসহ ৩০ হাজার ৮৯৯ টাকা আয় করেছে।

এদিকে এসব পণ্য থেকে প্রসেসিং মাশুল, ট্রান্সশিপমেন্ট মাশুল, নিরাপত্তা মাশুল, প্রশাসনিক মাশুল, এসকর্ট মাশুল, কন্টেইনার স্ক্যানিং মাশুল ও ইলেকট্রিক সিলের মাশুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থ পেয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদেশ অনুযায়ী, প্রতি চালানের প্রসেসিং মাশুল ৩০ টাকা, প্রতি টনের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট মাশুল ২০ টাকা, নিরাপত্তা মাশুল ১০০ টাকা, এসকর্ট মাশুল ৫০ টাকা, কনটেইনার স্ক্যানিং মাশুল ২৫৪ টাকা ও অন্যান্য প্রশাসনিক মাশুল ১০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার মো. ফখরুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় পণ্যের পরীক্ষামূলক চালান থেকে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ মোট ১৩ হাজার ১০০ টাকা মাশুল পেয়েছে। রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী এখন ৬ ধরনের মাশুল আদায় করা হয়েছে।

সরকারি এ দুটি প্রতিষ্ঠানের বাইরে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির পণ্য পরিবহন করে প্রায় তিন লাখ টাকা আয় করেছে দেশের বেসরকারি খাত। ভারত থেকে জাহাজে করে চার কনটেইনার পণ্য আনা হয়েছে, সেই এমভি সেঁজুতি বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ। ফলে জাহাজ ভাড়া বাবদ ও সড়ক পরিবহন বাবদ অর্থ পাচ্ছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান।

ম্যাঙ্গো শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান বলেন, ট্রানজিটের পণ্য নিয়ে ভারত থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসা পর্যন্ত প্রতি কন্টেইনার চারশ ডলার হিসেবে চার কনটেইনার পণ্য পরিবহনের জন্য প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে ৪টি প্রাইম মোভারে আগরতলা পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের জন্য ৩০ হাজার টাকা করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করা হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন চার্জ বাবদ আরও ৩০ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান গ্রহণ করার পর ৪টি কনটেইনারের দুটিতে থাকা রডের চালান নেয়া হবে পশ্চিম ত্রিপুরার জিরানিয়ায়। অন্য দুটিতে থাকা ভোগ্যপণ্য মসুর ডালের চালানটি নেয়া হবে আসামের করিমগঞ্জে জেইন ট্রেডার্সের কাছে।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১:০৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11387 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।