নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০ | প্রিন্ট | 531 বার পঠিত
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আসার সময় কোম্পানি একজন পরিচালকের মালিকানাধীন কোম্পানি থেকে মেশিনারিজ কেনার তথ্য (জবষধঃবফ চধৎঃু ঞৎধহংধপঃরড়হ) গোপন করার অভিযোগে প্রকৌশল খাতের কোম্পানি বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেডের প্রত্যেক পরিচালকে জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (২৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৩৩তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
একই ঘটনায় কোম্পানিটির নিরীক্ষক আহমেদ জাকির এন্ড কোং এবং আইপিওর ইস্যু ম্যানেজার বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকেও জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে বিবিএস ক্যাবল কর্তৃপক্ষ বলছে, যে মেশিনারিজ কেনা হয়েছিল সেগুলো দাম ও মানের দিক থেকে সম্পূর্ণ যৌক্তিক। তবে অনিচ্ছাকৃত ভুলে প্রসপেক্টাসে ওই তথ্য রিলেটেড পার্টির ইনফরমেশন হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া বিবিএস ক্যাবলস লিমিটেড আইপিওতে আসার আগে কোম্পানির একজন পরিচালক আশরাফ আলী খানের মালিকানাধীন গোমতী ট্রেডার্সের কাছ থেকে ৫৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা মূল্যের মেশিনারিজ কিনেছে, যা মোট কেনা মেশিনারিজের ৭৯ শতাংশ। নিয়ম অনুসারে এই ধরণের লেনদেনের তথ্য রিলেটেড পার্টি লেনদেন (জবষধঃবফ চধৎঃু ঞৎধহংধপঃরড়হ) হিসেবে উল্লেখ করতে হয়। কিন্তু বিবিএস ক্যাবলসের প্রসপেক্টাসে রিলেটেড পার্টি ইনফরমেশন হিসেবে এই তথ্য উল্লেখ করা হয় নি।
অন্যদিকে কোম্পানিটির আইপিওতে আসার আগের হিসাববছরের আর্থিক বিবরণীর নিরীক্ষক আহমেদ জাকি অ্যান্ড কোং ও তাদের প্রতিবেদনে বিষয়টি উল্লেখ করেনি। অন্যদিকে ইস্যু ম্যানেজার বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডও তাদের প্রত্যায়নে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।
এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চারটি প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনের একাধিক ধারা লংঘন করেছে বলে বিএসইসি উল্লেখ করেছে।
সিকিউরিটিজ আইন লংঘন করার কারণে বিবিএস ক্যাবলসের প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত), অডিটর ও ইস্যু ম্যানেজারকে ৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে বিবিএস ক্যাবলসের কোম্পানি সচিব নাজমুল হাসান অর্থসূচককে বলেন, রিলেটেড পার্টি ট্রানজেকশনের তথ্য উল্লেখ না করার বিষয়টি একেবারেই অনিচ্ছাকৃত একটি ভুল। যে ৫৭ কোটি টাকার মেশিনারিজ কেনার বিষয়টি বলা হয়েছে, সেটি ২০১৫-১৬ হিসাববছরের ক্ষেত্রে ৭৯ শতাংশ ঠিকই, তবে শুরু থেকে পরেও কোম্পানি অনেক মেশিন কিনেছে, সে হিসেবে এর পরিমাণ অনেক কম।
তিনি বলেন, মূল্য ও মানের দিক থেকে ওই মেশিনারিজ কেনার বিষয়টি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। কিন্তু বিষয়টি যে রিলেটেড পার্টি ট্রানজেকশন হিসেবে গণ্য এবং প্রসপেক্টাসে উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক সেটি তখন তাদের জানা ছিল না। নিরীক্ষক এবং ইস্যু ম্যানেজারও তাদেরকে এ বিষয়ে গাইড করেননি। তাই একেবারে অনিচ্ছাকৃতভাবে এই তথ্য বাদ পড়ে গিয়েছিল।
Posted ৭:৪৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan