নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৭ জুলাই ২০২১ | প্রিন্ট | 332 বার পঠিত
বীমা আইন-২০১০ অনুযায়ী বিশেষ নিরীক্ষা চলাকালে আইডিআরএ’র নিয়োগকৃত নিরীক্ষককে সহযোগিতা না করার অভিযোগ উঠেছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে। এজন্য কোম্পানির কাছে কৈফিয়ত তলব করে চিঠি দিয়েছে বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এমনটাই জানা গেছে আইডিআরএ সূত্রে।
সূত্র জানায়-২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি একটি চিঠির মাধ্যমে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সে বিশেষ নিরীক্ষা চালানোর নির্দেশ জারি করে আইডিআরএ। মূলত প্রতিষ্ঠানটির ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের দলিলাদি নিরীক্ষা করার জন্য এ নির্দেশনা দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে নিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান মেসার্স একনাবিন চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট্স ৪ মার্চ ২০১৯ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে নিরীক্ষা কার্যক্রম চালাতে থাকে। কিন্তু নিরীক্ষা চালানোর মাত্র তিন মাসের মধ্যে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় নিরীক্ষক একনাবিন। এ সময়ের মধ্যে কেবল ২০১৩ সাল পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করলেও ২০১৪ ও ২০১৫ সালের দলিলাদি পর্যালোচনা ও নিরীক্ষা করতে পারেনি।
এ ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর গত ২ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে কোম্পানিকে খসড়া নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রদান করে নিরীক্ষক একনাবিন। এতে কোম্পানির অসহযোগিতার কারণে ২০১৪ ও ২০১৫ সালের নিরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ জানানো হয়। নিরীক্ষকের এমন অভিযোগ পেয়ে গত ২৮ এপ্রিল এক চিঠির মাধ্যমে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের কাছে কৈফিয়ত চায় বীমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
এ কৈফিয়তের জবাবে গত ০৪ মে চিঠি দিয়ে আইডিআরএ’র ক্ষমা প্রার্থনা করে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়-অডিট চলাকালে নিরীক্ষক একনাবিনকে ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের সকল প্রকার কাগজপত্র নিয়মিত সরবরাহ করা হয়েছে। এমনকি কোম্পানির দুইজন কর্মকর্তাকে নিরীক্ষদের সহায়তা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ খুবই দুঃখজনক, অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত।
এ বিষয়ে জানতে কোম্পানি সচিব ইমরান হাসানকে ফোন করা হলে তিনি অন্য কাজে ব্যস্ততার কথা জানিয়ে মুখ্য নির্বাহীর সাথে কথা বলতে বলেন। এরপর সিইও খাজা মানযার নাদিমকে ফোন করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে একঘন্টা পর এ প্রতিবেদককে ফোন দিতে বলেন। পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের পর তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা রিসিভ করেননি ওই মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা।
Posted ৫:২৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৭ জুলাই ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy