নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট | 262 বার পঠিত
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বেক্সিমকোর সুকুকের ৫৬ শতাংশ বিক্রি (Subscribe) হয়েছে। সাবস্ক্রিপশনের হার ৫০ শতাংশের বেশি হওয়ায় এর আইপিও বাতিল হবে না। আইপিওর জন্য বরাদ্দ সুকুকের বাকী অংশ এর আন্ডাররাইটারদের মধ্যে ও প্রাইভেট প্লেসমেন্টে বরাদ্দ হবে।
বেক্সিমকো সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
প্রসঙ্গত , বেক্সিমকোর ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুকের ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৭৫০ কোটি টাকার সুকুক আইপিওর জন্য সংরক্ষিত ছিল। এই সুকুক বিক্রির জন্য গত ১৬ আগস্ট আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময়ে বিনিয়োগকারীরা ৪২২ কোটি টাকার সুকুক কেনার জন্য আবেদন করেন, যা মোট আইপিওর ৫৬.২ শতাংশ। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (Eligible Investor) ৩৬০ কোটি টাকার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৬২ কোটি টাকার সুকুক কেনার জন্য আবেদন করেন।
সিকিউরিটিজ আইন অনুসারে, কোনো আইপিওর ন্যুনতম ৫০ অংশ সাবস্ক্রাইব না হলে ওই আইপিও বাতিল হয়ে যায়। বেক্সিমকোর সুকুক ৫০ শতাংশের বেশি সাবস্ক্রাইব হওয়ায় এই আইপিও বাতিল হচ্ছে না।
শর্ত অনুসারে, আইপিওর আন্ডাররাইটাররা ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১৫০ কোটি টাকার সুকুক কিনবেন। সব মিলিয়ে আইপিওতে বরাদ্দ করা হবে ৫৭২ কোটি টাকার সুকুক।
আইপিওর অবশিষ্ট অংশ অর্থাৎ ১৭৮ কোটি টাকার সুকুক প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বরাদ্দ করা হবে। এর ফলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের জন্য সংরক্ষিত সুকুকের পরিমাণ কিছুটা বাড়বে।
উল্লেখ, সুকুক হচ্ছে ইসলামী শরীয়াহসম্মত বন্ড। মুসলিম বিশ্বে এটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে এই বন্ডের যথেষ্ট অবদান আছে বলে বিভিন্ন গবেষণা উঠে এসেছে। এই বন্ডের মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ মূলত অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়।
দেশে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড প্রথমবারের মতো সুকুক ইস্যু করে অর্থ সংগ্রহ করতে যাচ্ছে। কোম্পানিটি সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে ৩ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে, যা নবায়নযোগ্য জ্বালানী ও পরিবেশবান্ধব শিল্পে বিনিয়োগ করা হবে।
বেক্সিমকোর সুকুকে বার্ষিক ন্যুনতম মুনাফার হার হবে ৯ শতাংশ। এই সুকুক নির্দিষ্ট মেয়াদে সাধারণ শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে।
Posted ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৬ অক্টোবর ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan