শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

এসএমই পণ্যমেলা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎস

নিউজ ডেস্ক   |   রবিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১   |   প্রিন্ট   |   196 বার পঠিত

এসএমই পণ্যমেলা: ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎস

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বরাবরের মতো এবারও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৫ থেকে ১২ ডিসেম্বর ৮ দিনব্যাপী শুরু হয়েছে নবম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেলায় প্রবেশের জন্য কোনো ধরনের ফি প্রয়োজন হবে না।

এসএমই ফাউন্ডেশন ২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর (২০১৪ সাল ছাড়া) জাতীয় এসএমই মেলা আয়োজন করে আসছে। ৬ষ্ঠ এবং ৮ম জাতীয় এসএমই মেলায় প্রধানমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন। ৮ম মেলার উদ্বোধন হয় ৪ মার্চ ২০২০। মেলা চলাকালীন বাংলাদেশে করোনা রোগী ধরা পড়ায় কোনো রকমে তাড়াহুড়ো করে মেলা শেষ করতে হয়।

প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় ৯ম এসএমই মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এ বছরের মার্চ মাসে, কিন্তু করোনার প্রভাব চলতে থাকায় সময় পরিবর্তন করে প্রথমে নভেম্বর মাসে এবং পরে ডিসেম্বর মাসে নির্ধারণ করা হয়।

এবারের এসএমই মেলাটি নানা কারণে বিশেষ তাৎপর্য বহন করছে। বাংলাদেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কারণে কয়েকটি বিশেষ উৎসব অথবা পার্বণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন পহেলা বৈশাখ, দুই ঈদ, পূজা, বড়দিনের অনুষ্ঠান ইত্যাদি। এসব উৎসব ঘিরে নানারকম পণ্যের কেনাবেচা হয়ে থাকে। করোনা অতিমারীর কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত অনেকগুলো উৎসব তেমনভাবে পালনের সুযোগ না পাওয়ায় এসএমই উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আসন্ন ৯ম জাতীয় এসএমই মেলা একটি উল্লেখযোগ্য উপাখ্যান হতে পারে।

জাতীয় বা আঞ্চলিক মেলা উদ্যোক্তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেলা আয়োজনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন, বিক্রয়, নতুন ক্রেতা সৃষ্টি, ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধ রচনা করা। তা ছাড়া আমাদের দেশের এসএমই উদ্যোক্তারা কী কী ধরনের পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম অর্থাৎ সেটি প্রদর্শন করা, বড় বড় শিল্পকারখানার জন্য ব্যাকওয়ার্ড এবং ফরোয়ার্ড লিংকেজ শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা নিরূপণ করাও মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য।

মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা, ক্রেতা এবং দর্শনার্থীরা সবাই বেনিফিটেড বা সুবিধাভোগী হবেন। মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের সুবিধা বলতে সত্যিকার অর্থে সারাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা এ মেলার জন্য সারা বছর অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। প্রথমত, উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য মেলায় ক্রেতাসাধারণের কাছে বিক্রয়ের মাধ্যমে সরাসরি লাভবান হন। কোনো কোনো উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে মেলায় বিক্রয়ের পরিমাণ তাদের সারা বছরের বিক্রয়ের প্রায় অর্ধেক বা তারও বেশি হতে পারে। মেলায় উদ্যোক্তারা তাদের সম্ভাব্য ক্রেতাদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, ক্রেতাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য, গুণাগুণ ও পছন্দ বিষয়ে অবহিত হতে পারেন এবং অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের জন্য সরাসরি ওয়ার্ক-অর্ডার বা কার্যাদেশপ্রাপ্ত হন, যা পরে উদ্যোক্তারা সরবরাহ করে থাকেন। এতে করে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ক্রেতাদের একটি নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়, যাতে তাদের ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে, এসএমই ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, এবারের মেলায় এসএমই ফাউন্ডেশনের একটি নিজস্ব স্টল/বুথ থাকছে। এখান থেকে নতুন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য করণীয় বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হবে; ছোট পরিসরে একাধিক উন্মুক্ত প্রশিক্ষণ ও গ্রুপ ডিসকাশনের ব্যবস্থা থাকবে। মেলায় এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমসহ উদ্যোক্তাদের জন্য ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন সেবার বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হবে এবং আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী আগ্রহী উদ্যোক্তাদের নিবন্ধন করা হবে।

ফাউন্ডেশন সূত্রে আরও জানা যায়, সম্প্রতি ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে ঢাকায় একটি বিজনেস ইনকিউবিশন সেন্টার চালু করা হয়েছে। মেলায় ওই ইনকিউবিশন সেন্টার সম্পর্কে ধারণা প্রদানের পাশাপাশি ইনকিউবিশন সেন্টার ব্যবহারের জন্য আগ্রহী স্টার্টআপ বা নতুন উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক নিবন্ধন করা হবে।

তাছাড়া মেলায় সন্ধানীর সহযোগিতায় একটি রক্তদান কেন্দ্র করা হয়েছে। যে কোনো ব্যক্তি এখানে রক্তদান করতে পারবেন। মেলায় ভিজিটর এবং বিক্রয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন স্টলে ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে পণ্যের প্রচারের ব্যবস্থার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে ইনফ্লুয়েন্সার নিয়োগের খরচ সংশ্লিষ্ট স্টলকে বহন করতে হবে। এবারের মেলায় অধিক ক্রেতা দর্শনার্থী আকর্ষণ করার লক্ষ্যে মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের খেলার জায়গাসহ বিভিন্ন বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তা ছাড়া প্রতিদিনকার মেলার খবরা-খবর প্রচারের জন্য মিডিয়া সেন্টার স্থাপনসহ অন্যান্য কিছু জরুরি সার্ভিস রাখা হয়েছে।

/এস

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ৬:৫১ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11390 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।