বিবিএ নিউজ.নেট | সোমবার, ০৪ এপ্রিল ২০২২ | প্রিন্ট | 282 বার পঠিত
বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন সংক্রান্ত বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র নির্দেশনা স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) । বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ২১(৩) অনুযায়ী বিধি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সোমবার (৪ এপ্রিল) বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’কে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ২৯ ও ৩০ মার্চ পৃথক দু’টি স্মারকে লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির মূলধন ও শেয়ারধারণ সম্পর্কিত পূরণীয় শর্তের বিষয়ে নির্দেশনা দেয় আইডিআরএ।
বিআইএ বলছে, ২০১০ সালের পূর্বে লাইসেন্স প্রাপ্ত লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিসমূহ কি পদ্ধতিতে এবং কোন সময় সীমার মধ্যে তফসিল-১ এ বিধৃত মূলধন থাকার শর্ত পূরণ করবে- এই সংশ্লিষ্ট ধারা-২১(৩) এর বিধিটি অদ্যবধি গেজেট নোটিফিকেশন হয়নি।
এমতাবস্থায় বীমা আইন ২০১০ এর ধারা ২১(৩) অনুযায়ী বিধি প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত উপর্যুক্ত স্মারকদ্বয়ের নির্দেশনা স্থগিত রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে বীমা মালিকদের এ সংগঠন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আলোচনার প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন থেকে উপযুক্ত প্রতিনিধি পাঠানো হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছে বিআইএ।
উল্লেখ্য, বীমা আইন ২০১০ এর ২১ ধারায় বলা হয়েছে, (১) এই আইন বলবৎ হইবার পূর্বে বাংলাদেশে যে কোন শ্রেণীর বীমা ব্যবসায়ে নিয়োজিত ছিল এইরূপ বীমাকারী ব্যতীত, অন্য কোন বীমাকারী এই আইন বলবৎ হইবার পর কোন শ্রেণীর বীমা ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিবন্ধীকৃত হইবে না, যদি তাহার তফসিল ১ এ বিধৃত পরিমাণ পরিশোধিত মূলধন না থাকে এবং তাহার শেয়ারসমূহ বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী পরিশোধিত না হইয়া থাকে:
তবে শর্ত থাকে যে, সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস করিতে পারিবে: আরো শর্ত থাকে যে, উদ্যোক্তাগণ নিবন্ধনের আবেদন করার পূর্বে পরিশোধিত মূলধনে তাহাদের নিজ নিজ অংশ দায় মুক্তভাবে বাংলাদেশে কোন তফসিলী ব্যাংকে কোম্পানীর নামে জমা করিবেন এবং উক্ত অর্থ দায়মুক্তভাবে জমা হিসাবে থাকিবে।
(২) বীমাকারী কর্তৃক নিবন্ধনের আবেদন দাখিলের পর বা ভবিষ্যতে কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে উপ-ধারা (১) এ বর্ণিত পরিশোধিত মূলধন জমার হিসাব হইতে জমার উপর অর্জিত সুদ ব্যতীত কোন অর্থ উত্তোলন করা যাইবে না এবং কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ব্যতিরেকে কর্তৃপক্ষের অনুকূলে ছাড়া পরিশোধিত মূলধনের উপর কোনরূপ লিয়েন লিপিবদ্ধ করা যাইবে না।
(৩) এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে বাংলাদেশে বা বাংলাদেশের বাহিরে নিগমিত কোন বীমাকারীকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও সময়সীমার মধ্যে উপ-ধারা (১) এর অধীনে উহার মূলধন থাকার শর্ত পূরণ করিতে হইবে।
Posted ৩:৪৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৪ এপ্রিল ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy