নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ০৪ মে ২০২৪ | প্রিন্ট | 61 বার পঠিত
বিতরণ কোম্পানির সিস্টেম লস কমাতে সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট চায় পেট্রোবাংলা। এতে করে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি তিতাস নিয়মিত অভিযান চালিয়ে তাদের সিস্টেম লস ১৪ ভাগ কমিয়েছে বলে দাবি করেছে।
অন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোতেও গ্যসের সিস্টেম লস রয়েছে। কিন্তু সেসব বিতরণ কোম্পনি খুব একটা অভিযান চালায় না। ফলে বিপুল পরিমাণ গ্যাস চুরি হয়। আর এই চুরির কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।
এক সময় কেবলমাত্র দেশীয় গ্যাস সরবরাহ করা হতো। এখন সেখানে দেশীয় গ্যাসের সঙ্গে আমদানি করা গ্যাসও সরবরাহ করা হয়। গ্যাস আমদানিতে সরকারের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেই গ্যাস যদি চুরি হয় তাহলে সরকার যে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে তা থেকে উত্তরণ কঠিন হয়ে উঠবে।
পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানিয়েছেন, নিয়মিত অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস লাইন অপসারণ করা হচ্ছে। এই অভিযান জোরদার করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট দরকার। সম্প্রতি তিনি জ্বালানি বিভাগের মাসিক সমন্বয় সভায়ও বিষয়টি আলোচনায় আনেন। তিনি ওই বৈঠকে বলেন, ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সিস্টেম লস কমানোর জন্য সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকা জরুরি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দুই বা তিন জন কর্মকর্তাকে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রেষণে কাজ করার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে নিয়োগ দিতে পারে। সে মোতাবেক নতুন একটি প্রস্তাব পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো হবে।
তবে ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার ক্ষেত্রে জ্বালানি বিভাগের অভিযোগ সুখকর নয় বলে ওই বৈঠকেই একজন যুগ্ম সচিব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও পাইপলাইন বিচ্ছিন্ন করার কাজ এগিয়ে নিতে একজন স্থায়ী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বিভাগে সংযুক্তি এবং এ বিভাগে কর্মরত উপসচিব এস এম জাকারিয়া ও উপসচিব মো. শেখ শহিদুল ইসলামের অধীনে ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল ক্ষমতা অর্পণের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আশানুরূপ কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তিতাস কার্যালয় পরিদর্শনে করেন। প্রতিমন্ত্রী সিস্টেম লস ও চুরি কমাতে গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি যাওয়া হবে বলে জানান। তিনি বলেন, আমরা অনেক ভূতুড়ে গ্রাহক পাচ্ছি। এই ভুতুড়ে গ্রাহকদের ধরতে বাড়ি বাড়ি যাওয়া হবে।
কিন্তু আইনত ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া কোনও গ্রাহকের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং জরিমানা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা এবং বিতরণ কোম্পানি যতই চেষ্টা করি না কেন, সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্টেট যদি না থাকে এই কাজে গতি আসবে না। এজন্য সার্বক্ষণিক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আমরা জ্বালানি বিভাগের দুই কর্মকর্তার ম্যাজেস্ট্রেসি পাওয়ার চেয়েছি।
Posted ৮:৫৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
bankbimaarthonity.com | rina sristy