নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 563 বার পঠিত
পর্যায়ক্রমে এলাকাভিত্তিক পোশাক কারখানা খোলার নির্দেশনা দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে শুরুতে কারখানা সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। ফলে প্রথম ধাপে কারখানার আশপাশে যেসব শ্রমিক থাকে, তাদেরই কাজে যোগদান করতে বলা যাবে।
শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) রাতে বিজিএমইএ’র ওয়েবসাইটে দেওয়া মালিকদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সদস্যদের উদ্দেশ্যে কারখানা খোলা বা বন্ধ বিষয়ক ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। ফলে করোনার এই প্রাদুর্ভাবে গ্রাম থেকে শ্রমিকদের ফিরিয়ে না আনার অনুরোধ করেছে পোশাক মালিকদের সংগঠনটি।
এতে আরও বলা হয়, অর্থনীতি সচল রাখতে সার্বিক পরিস্থিত বিবেচনায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার নির্দেশনা বিজিএমইএ দেবে। সেই নির্দেশনা পাওয়ার আগ পর্যন্ত যেসব শ্রমিক গ্রামে আছে, তাদের ঢাকায় আসতে না বলার অনুরোধ করা হচ্ছে।
মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় কোনো শ্রমিক ছাটাই না করার অনুরোধ করছে বিজিএমইএ। এছাড়া যে কোনো পরিস্থিতিতে কোনো শ্রমিককে অসমর্থিত ও অনুপযুক্ত উপায়ে ঢাকা নিয়ে আসা হলে সংগঠন হিসেবে বিজিএমইএ কোনো সহায়তা করবে না বলেও ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সরকারি আদেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন নির্দেশনা পালন সাপেক্ষে আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে করোনার কারণে সরকার প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। পরে তিন দফায় বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
জানা গেছে, সাধারণ ছুটির সময় গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রামে চলে যাওয়া শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে মালিকরা যেন বাধ্য না করে সেজন্য বিজিএমইএ এই নির্দেশনা দিয়েছে।
Posted ১১:০৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan