নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 642 বার পঠিত
বাজেট ঘোষণার দিনে অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতে চাইলে তিন বছরের লকইনের প্রস্তাব করেছিলেন। সেটি কমিয়ে এক বছর করা হয়েছে। তবে শেয়ারবাজার ছাড়া অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো লক-ইন বা শর্ত না থাকায় এই পরিবর্তনে সংশ্লিষ্টদের খুশি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এতে পুঁজবাজারেও তেমন ওই অর্থ আসার সম্ভাবনা থাকবে না। কালোটাকা সাদা করা অর্থাৎ অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা পুঁজিবাজারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিধান রেখে সংসদেঅর্থবিল ২০২০ পাস হয়েছে।
উল্লেখ, কোনো প্রশ্ন ছাড়াই ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট কেনা, দালান নির্মাণ এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে অপ্রদর্শিত আয়ের অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ গত অর্থবছরই ছিল। কিন্তু এবার তা বাড়িয়ে ব্যাংকে এফডিআর রাখা, সঞ্চয়পত্র কেনা, প্লট ও ফ্ল্যাট কেনা, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ইত্যাদি খাতে সুযোগ দেওয়া হয়। মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে এসব খাতে বিনিয়োগকৃত কালো টাকা সাদা করা যাবে। কিন্তু পুঁজিবাজার ছাআ অন্য কোনো খাতে বাড়তি শর্ত আরোপ করা হয়নি।
সোমবার (২৯ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এছাড়া বিলে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
গত ১১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে তার বাজেট প্রস্তাবে ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ আরও বিস্তৃত করেন।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, পুঁজিবাজার, বন্ড বা অন্য কোনো সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রেও একই সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
কোনো জরিমানা ছাড়া কেবল ১০ শতাংশ কর দিয়ে যে কেউ তার অবৈধভাবে অর্জিত অথবা কর ফাঁকি দিয়ে গোপনে সঞ্চিত অর্থ এসব খাতে বিনিয়োগ করতে পারবেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বা সরকারের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ওই টাকার উৎস জানতে চাইবে না।
তবে কেউ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো শেয়ারে অপ্রদর্শিত আয়ের টাকা বিনিয়োগ করতে চাইলে তিন বছরের ‘লক ইন’ বা বিক্রয় নিষেধাজ্ঞার শর্ত দেওয়া হয়, যা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) পাশাপাশি বালাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও ‘লক ইনের’ ওই শর্ত তুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
এভাবে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়ে অর্থমন্ত্রী সেদিন বাজেট বক্তৃতায় বলেছিলেন, ‘অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে’ আয়কর অধ্যাদেশে এই ধারা সংযোজনের প্রস্তাব করছেন তিনি।
তবে এভাবে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলে সৎ করদাতাদের প্রতি ‘অবিচার’ করা হয় বলে অনেকেই এর বিরোধিতা করে আসছেন।
সোমবার (২৯ জুন) অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারে কালোটাকার ‘লক ইন’ ৩ বছরের পরিবর্তে ১ বছর করে তার সঙ্গে অন্য কিছু সংশোধনী এনে অর্থবিল পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) পাস হবে মূল বাজেট। ১ জুলাই (বুধবার) থেকে শুরু হবে নতুন অর্থবছর।
Posted ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan