নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০১ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 454 বার পঠিত
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের আয় কমেছে সাড়ে ৭০ শতাংশ। কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে ২১ শতাংশের। সশরীরে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে দুই-পঞ্চমাংশের বেশি এজেন্ট। এ অবস্থায় তাদের মাসিক আয় নেমে এসেছে মোট মাসিক ব্যয়ের এক-তৃতীয়াংশে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ইনোভেশনের ‘ইমপ্যাক্ট অব কভিড-১৯ আউটব্রেক অন এজেন্ট ব্যাংকিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে দেশব্যাপী লকডাউন পরিস্থিতিতে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সেবার পাশাপাশি সেবাটির তারল্য পরিস্থিতি ও প্রয়োজনীয় নীতিসহযোগিতাসংক্রান্ত বিষয়াদিও উঠে এসেছে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে জড়িতদের কাছ থেকে নেয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরুষ ও নারী আছে যথাক্রমে ৯৮ ও ২ শতাংশ। তাদের মধ্যে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বাইরে ভিন্ন আয়ের উৎস রয়েছে ৭০ শতাংশের।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, লকডাউনের কারণে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যাপক ভাটা পড়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সেবাটি ব্যবহার করে ইউটিলিটি বিল প্রদানের হার এ সময় ৩২ থেকে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। লকডাউনের আগে সেবাটি ব্যবহার করে সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্ট খোলার হার ছিল ৯১ শতাংশ। এখন তা নেমে এসেছে ৩১ শতাংশে। বৈদেশিক রেমিট্যান্স গ্রহণের হার ৩০ থেকে ৩ শতাংশে নেমে এসেছে। এছাড়া ডিপিএস ও এফডিআর অ্যাকাউন্ট খোলা এবং ঋণ বিতরণ কার্যক্রম নেমে এসেছে শূন্যের কোটায়।
এজেন্টরা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে সঞ্চয়ী হিসাব খোলার চেয়ে আয় কমে যাওয়ার কারণে সাধারণ জনগণের হাতে নগদ টাকা রাখায় আগ্রহ বেশি। মহামারীর কারণে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী দেশে ফিরে আসায় রেমিট্যান্সও হ্রাস পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত মোট ২২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্স পেয়েছে। তবে ১৯টি ব্যাংক দেশব্যাপী তাদের এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যে ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে সেগুলো হলো ডাচ্–বাংলা, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, মধুমতি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এনআরবি কমার্শিয়াল, স্ট্যান্ডার্ড, অগ্রণী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, মিডল্যান্ড, দি সিটি, ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল, এবি ব্যাংক, এনআরবি, ব্র্যাক ও ইস্টার্ন ব্যাংক।
Posted ২:০১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০১ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan