নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট | 209 বার পঠিত
বাজেট ঘাটতি সহনীয় রাখতে নতুন বছরের শুরুতেই গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়ানো হতে পারে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে জাতীয় কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এ ছাড়া সারের দামও বেড়ে গেছে বিশ্ববাজারে। এসব কারণে সরকারের বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর ঘাটতি সহনীয় রাখতেই গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের দাম বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। বাজেট তৈরিতে জড়িত অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নতুন বছরের শুরুতে আরেক দফা জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হতে পারে।’
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমসহ অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এবার বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে ছয় হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে সার ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় এ খাতে অতিরিক্ত দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি লাগতে পারে।
বাজেট ঘোষণার সময় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বর্তমানের চেয়ে অর্ধেক ছিল। ফলে সরকার এ খাতে কোনো বরাদ্দ রাখেনি। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়ায় এ খাতে ভর্তুকি লাগতে পারে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চলতি অর্থবছরের জন্য জিডিপির যে প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে, তা অর্জিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি সংশোধিত বাজেটেও অপরিবর্তিত রাখা হবে। আগামী এপ্রিলে সংশোধিত বাজেট চূড়ান্ত করা হবে।
বহুজাতিক ঋণদানকারী সংস্থা বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সরকারের প্রাক্কলনের চেয়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কম হবে বলে মত দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, এ বছর বাংলাদেশের জিডিপি হবে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ। আইএমএফ বলেছে, ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। সভায় আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণের কথা বলা হয়।
Posted ৬:৫০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২১
bankbimaarthonity.com | rina sristy