| বৃহস্পতিবার, ০৩ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট | 305 বার পঠিত
গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্সের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। বর্তমানে দেশের ৩১ জেলায় ১৮৬ টি শাখা অফিসের মাধ্যমে কোম্পানিটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। স্থায়ী ও খন্ডকালীন মিলিয়ে ১২ হাজারেরও বেশি কর্মী নিয়ে নতুন উদ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে গোল্ডেন লাইফ। যার ব্যবস্থাপনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন খান চৌধুরী। সার্বক্ষণিক উপদেশ ও পরামর্শ দিচ্ছেন কোম্পানির উপদেষ্টা এম তৌহিদুল আলম। দেশের বীমা খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সম্প্রতি ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আমজাদ হোসেন খান চৌধুরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নাসির আহমাদ রাসেল।
ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতি: বীমা খাতে প্রতি গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আপনার কোম্পানি কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
আমজাদ হোসেন খান চৌধুরী: গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স শুধুমাত্র গত দুই বছরে ৫৬ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করেছে। প্রত্যেক গ্রাহকের পলিসি ম্যাচুরিটির সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফোনে যোগাযোগ করছি, অ্যাকাউন্ট নাম্বার নিচ্ছি এবং অর্থ পরিশোধ করছি। এছাড়াও গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমরা মোবাইল অ্যাপস চালু করেছি। এর মাধ্যমে প্রতিটি গ্রাহক যে কোনো মুহূর্তে তার পলিসি স্ট্যাটাস জানতে পারছেন। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রিমিয়াম জমা দিচ্ছেন, বীমা দাবির অর্থও পেয়ে যাচ্ছেন। এসব প্রক্রিয়া বীমার প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়াতে সাহায্য করছে। কর্মীরাও তাদের আর্নিং স্ট্যাটাস জানতে পারছেন। ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডের মাধ্যমে পেয়েও যাচ্ছেন।
ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতি: বাংলাদেশের বীমা খাতের সম্ভাবনা কতটা বলে আপনি মনে করেন?
আমজাদ হোসেন খান চৌধুরী: বাংলাদেশের বীমা খাতের সম্ভাবনা ব্যাপক। আমরা যদি জনগণকে বীমার সুফল সম্পর্কে জানাতে পারি, সার্ভিসকে ডিজিটালাইজড করে গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, স্বাচ্ছ্যন্দময় করতে পারি তাহলে বীমা খাত আরো এগিয়ে যাবে। যথা সময়ে বীমা দাবি পরিশোধ হলে, গ্রাহক তার অর্থ ফেরতের নিশ্চয়তা পেলে বীমা খাতের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখার সুযোগ তৈরি হবে।
ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতি: বাংলাদেশের বীমা খাতের চ্যালেঞ্জগুলো কী কী এবং উত্তরণের উপায় কী?
আমজাদ হোসেন খান চৌধুরী: বাংলাদেশের বীমা খাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গ্রাহকের আস্থাহীনতা। কোম্পানিগুলো কমিটমেন্ট না রাখতে পারা। এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে বীমা খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে।
ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতি: প্রচলিত পরিকল্পগুলোর বাইরে স্বল্প সময়ে গ্রাহক সুফল পেতে পারে এমন নতুন কী পরিকল্প আপনাদের রয়েছে?
আমজাদ হোসেন খান চৌধুরী: আমরা কিছু বিশেষ পরিকল্প নিয়ে আসছি। যেমন টার্ম ইন্স্যুরেন্স, যাত্রী কল্যাণ বীমা ইত্যাদি।
ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতি: বীমা সম্পর্কে জনমনে ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টিতে বীমা দিবস কতটা ভূমিকা পালন করছে?
আমজাদ হোসেন খান চৌধুরী: আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বীমা খাতের যতটা অগ্রগতি তা জাতির জনকের স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এসেছে। প্রতি বছর ১ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বীমা পেশায় যোগদানের দিনকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করায় আমরা আনন্দিত। বীমা দিবসের নানা কর্মসূচি জনগণের মাঝে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছাচ্ছে। যা এই খাতকে আরো সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে।
ব্যাংক-বীমা-অর্থনীতিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Posted ৭:৩৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৩ মার্চ ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy