বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x
বীমা খাতে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

জিডিপিতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে বাধ্যতামূলক বীমার পরিধি বাড়াতে হবে

মোহাম্মদী খানম   |   সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩   |   প্রিন্ট   |   394 বার পঠিত

জিডিপিতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে বাধ্যতামূলক বীমার পরিধি বাড়াতে হবে

দেশে হাতেগোনা যে ক’জন নারী বীমা ব্যক্তিত্ব রয়েছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মোহাম্মদী খানম। দীর্ঘদিন এ খাতে চাকরির সুবাধে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন স্বমহিমায়। বর্তমানে তিনি দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। বীমাশিল্পে দীর্ঘ ৩৪ বছরের ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন বিভিন্ন কোম্পানিতে। তারই উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় হজ ও ওমরাহ বীমা, স্বাস্থ্যবীমা ও ব্যাংকের জন্য ব্যাংকারস ব্ল্যাংকেট বন্ড পলিসি’র মতো প্রয়োজনীয় বীমাগুলো আইডিআরএ’র মাধ্যমে গৃহীত ও প্রচলিত হয়। সম্প্রতি বীমা খাতের নানা সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় দৈনিক ব্যাংক বীমা অর্থনীতি’ পত্রিকার প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন রাজিবের সঙ্গে।

 

বীমা খাত দেশের সম্ভাবনাময় জায়গা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নত দেশসমূহের জিডিপি’তে বীমা খাতের অবদান উল্লেখযোগ্য হলেও দেশে বীমাখাতের অবদান এখনও কাক্সিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছেনি। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হলো বাধ্যতামূলক বীমার পরিধি বাড়ানো। অন্তত কিছু বীমা পলিসি যেমন-নৌযান বীমা, হজ ও ওমরাহ বীমা, ভূমিকম্প বীমা, ব্যাংকাস্যুরেন্স, মোটর ইন্স্যুরেন্স ও হেলথ ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হলে জিডিপি’তে বীমা খাতের প্রেনিট্রেশন বৃদ্ধি পাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকদের প্রয়োজন অনুযায়ী যুগোপযোগী বীমা পলিসি তৈরির পাশাপাশি মানুষের জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।

 

তিনি বলেন, দেশে নৌযান বীমা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন এ জন্যে যে, নৌ বীমা থাকলে দুর্ঘটনা কিছুটা হলেও কমে আসবে। কারণ নৌ দুর্ঘটনার পেছনে নানা অব্যবস্থাপনা দায়ী। যেমন সারেং এর বদলে সহকারীর লঞ্চ-স্ট্রিমার চালানো, নিরাপত্তা ব্যবস্থার বালাই নেই ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী থাকে না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রী, নৌ-মালিকগণ বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। বীমা বাধ্যতামূলক করা হলে যেসব অব্যবস্থাপনা রয়েছে তা কিছুটা হলেও দূর হবে। বীমা করতে হলে সারেং এর সার্টিফিকেট লাগবে, কি কি নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে তার সার্টিফিকেট লাগবে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সামগ্রী রয়েছে কিনা সেটাও দেখাতে হবে। কোন নৌযান যথাযথ স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা থাকলে সে যানের দুর্ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই কমে আসবে। কোন কারণে দুর্ঘটনা ঘটলেও বীমা থাকলে তা থেকে যাত্রী, নৌযান মালিক অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা সুবিধা পাবেন। এছাড়া, নৌযান বীমা করা হলে তা থেকে যে প্রিমিয়াম আসবে সেটা দেশের জিডিপি’তে প্রেনিট্রেশন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

 

এছাড়া হজ ও ওমরাহ বীমার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে হজ ও ওমরাহ বীমা চালু আছে কিন্তু বাধ্যবাধকতা না হওয়ায় এই পলিসি কেউ নিচ্ছেন না। তিনি হজের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমি যখন ২০১২ সালে হজে গিয়েছি তখন দেখেছি অনেকে দুর্ঘটনায় পড়ে হুইল চেয়ারে বসে হজ পালন করছে। আবার অনেকে দুর্ঘটনায় পড়ে মারাও যায়। যারা মারা যায় তাদের লাশও কিন্তু দেশে আনা হয় না ঐ জায়গায় দাফন করা হয়। যারাই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের যদি হজ ও ওমরাহ ইন্স্যুরেন্স থাকতো তা থেকে তার নমিনি কিছুটা হলেও আর্থিক সহায়তা পেতেন।

আমাদের দেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে অনেকেই ইন্স্যুরেন্স করতে চান না। তবে ধর্মমন্ত্রণালয় চাইলে এটা বাধ্যতামূলক করে দিতে পারে। যেসব কাফেলা ধর্মমন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগ পায় তারা যদি ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়ামের সামান্য টাকা এক সাথে ধার্য করে তাহলে কাউকে আলাদা করে বলতেও হবে না যে আপনার ইন্স্যুরেন্স করতে হবে। তখন কোন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে একটি পেপার নিলে স্বাভাবিকভাবেই এই হাজী ইন্স্যুরেন্সের কাভারেজের আওতায় চলে আসবেন। এতে তিনি যেমন লাভবান হবেন এবং বীমা খাতের প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।

 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। আমাদের দেশে হাউসহোল্ড অল রিস্ক ইন্স্যুরেন্সের প্রচুর সম্ভাবনা আছে। সারা বিশ^ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য আমাদের অতিদ্রুত ভূমিকম্প ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা উচিত, প্রয়োজনে যারা একসাথে ফায়ার ও ভূমিকম্প ইন্স্যুরেন্স নিবে তাদের প্রিমিয়ামের একটি স্পেশাল রেইট দিয়ে প্রতিটি ঘর, বাড়ির জন্য ভূমিকম্প ইন্স্যুরেন্স এবং ফায়ার ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে। তিনি নেপালের ভূমিকম্পের বিষয়ে বলেন, নেপালে যখন বড় ভূমিকম্প হলো সে বছরই কিন্তু নেপাল ভূমিকম্প ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম নেয়া শুরু করলো। ফলে ভূমিকম্পের পরে রি-ইন্স্যুরেন্স থেকে ভালো সুবিধা নিয়ে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, এসব ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হলে প্রিমিয়াম প্রেনিট্রেশন অনেক বৃদ্ধি পাবে। এমনিতেই দেশের বীমা খাতে প্রিমিয়াম প্রেনিট্রেশন বাড়ে না পাশাপাশি জিডিপিতেও তেমন একটা অবদান রাখতে পারে না। এসব বীমা বাধ্যতামূলক করা হলে প্রিমিয়াম প্রেনিট্রেশন বাড়বে এবং জিডিপিতে আরো বেশি অবদান রাখতে পারবে।

 

মোহাম্মদী খানম বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও ব্যাংকাস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। অনেক দিন হলো এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কিন্তু এখনো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন পাওয়া যাচ্ছে না। এই প্রোডাক্টটি চালু হলে বীমাখাত আরো গতিশীল হতে পারে। যেহেতু ব্যাংকের ওপর গ্রাহকদের আস্থা বেশি তাই ব্যাংকাস্যুরেন্স মাধ্যমে বীমা খাতের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা আরো বৃদ্ধি পাবে। ব্যাংকাস্যুরেন্স চালু হলে বীমা কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম সংগ্রহের খরচও কমবে। বীমা খাতে কমিশনের যে অসম প্রতিযোগিতা রয়েছে সেটাও কমে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

মোটর ইন্স্যুরেন্সের বিষয়ে তিনি বলেন, মোটর ইন্স্যুরেন্সে তৃতীয় পক্ষের ঝুঁকি বীমা দেশে বাধ্যতামূলক ছিলো। রাস্তায় গাড়ি চলাচলের জন্য মোটর ইন্স্যুরেন্স জরুরি। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়নে এই ইন্স্যুরেন্স করার বাধ্যবাধকতা না থাকায় মোটর ইন্স্যুরেন্স কেউ এখন স্বইচ্ছায় করছেন না। তবে এটা খুব শীঘ্রই বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। এই ইন্স্যুরেন্স না করায় সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বীমা খাতও। আমাদের প্রায় দু’ তিনটি ব্রাঞ্চ বন্ধ হয়ে গেছে। ঐ ব্রাঞ্চগুলো চলছিল মোটর ইন্স্যুরেন্সের উপর ভিত্তি করে। যদিও সড়ক পরিবহন আইনে ক্ষতিগ্রস্তদের তহবিল গঠন করে সহায়তার কথা বলা হয়েছে। তারপরও আমি বলব, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও এই ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন।

 

হেলথ ইন্স্যুরেন্সের বিষয়ে তিনি বলেন, হেলথ ইন্স্যুরেন্স আমাদের দেশে অত্যবশ্যকীয়। সিআরসি বীমা নিয়ে অনেক কাজ করে। প্রয়োজনে সিআরসির মাধ্যমে আলাদা কমিটি গঠন ও গবেষণা করে যুগোপযোগী হেলথ ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। আমাদের দেশের জনগণকে হেলথ ইন্স্যুরেন্সের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। ১০ টাকা বা ১৫ টাকা প্রিমিয়াম করে হেলথ ইন্স্যুরেন্স করা হলে এটা সবার জন্যে সুবিধাজনক হবে, সবাই দিতে পারবে। এতে তারা চিকিৎসা কাভারেজ পাবে। আবার স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের যদি হেলথ ইন্স্যুরেন্স আওতায় নিয়ে আসা যায় তাহলে যেকোন দুর্ঘটনায় তারা ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ পাবে। দুর্ঘটনা পরবর্তী সময়ে অভিবাবকের উপর যে বাড়তি চাপ তৈরি হয় তা থেকে তারা কিছুটা হলেও নিস্কৃতি পাবে। এই ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করা হলে প্রিমিয়াম প্রেনিট্রেশন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

 

বীমা খাতে চ্যালেঞ্জের বিষয়ে তিনি বলেন, নন লাইফ বীমা খাতে নানা প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি সময়মতো দাবি পরিশোধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কোন গ্রাহকের বড় বীমা দাবি পরিশোধের বিষয় সামনে এলে তখন আমাদের সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের দারস্থ হতে হয়। যেহেতু তারা আমাদের রি-ইন্স্যুরার কোম্পানি। তখন কিন্তু তাদের কাছ থেকে আমরা যথাযথ সাহায্য পাই না। এখন যেটা সাধারণ বীমা করে থাকে যেমন সম্প্রতি দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দু’টি বড় বীমা দাবি তারা অনুমোদন দিয়ে বলেছে, পুরাতন বকেয়া রি-ইন্স্যুরেন্সের পাওনা টাকার সাথে সমন্বয় করে নিতে। হঠাৎ এরকম সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়তে হয় কোম্পানিকে। কারণ একটি কোম্পানি পরিচালনার জন্য যে পরিমাণ অর্থের যোগান দিতে হয় তার সাথে যদি আবার বড় বীমা দাবি চলে আসে তখন তা পরিশোধ করতে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আবার কিছু সময় দেখা যায়, কোম্পানির ফান্ডে সে পরিমাণ টাকা থাকে না পাশাপাশি আমাদের সাধ্যের মধ্যে যেসব বীমা দাবি থাকে সেগুলোও পরিশোধ করতে হয়। বড় বীমা দাবি পরিশোধের ক্ষেত্রে গ্রাহকের আস্থা ধরে রাখার জন্য হলেও আমাদের ত্যাগ স্বীকার করে দাবি পরিশোধ করতে হচ্ছে। তাই আমাদের প্রস্তাব হলো, সাধারণ বীমা আমাদের কাছে যেমন রি-ইন্স্যুরেন্সের প্রিমিয়াম পাওনা আমরাও অনেক গ্রাহকের বীমা দাবি পাওনা। তাই বড় ক্লেইম এলে তারা আমাদের উপর ছাপিয়ে না দিয়ে পরিশোধে সহায়তা করলে আমরাও তাদের রি-ইন্স্যুরেন্সের পাওনা পরিশোধ করে দিতে পারি সহজেই।

 

তিনি বলেন, নন লাইফ বীমা খাতের আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো আউটস্ট্যান্ডিং প্রিমিয়াম। দেখা গেলো আমরা চেষ্টা করছি বাকিতে ব্যবসা করবো না কিন্তু মার্কেটে অন্য কোম্পানি ঠিকই বাকীতে ব্যবসা করে যাচ্ছে। তখন আমাদের ক্লায়েন্টদের মুখোমুখি হতে হয়। তারা এসে বলে অন্য কোম্পানি বাকিতে ব্যবসা করছে আপনারা কেন পারবেন না। আমরা যখন বলি আইডিআরএ’র কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে বাকীতে ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞা আছে তখন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবসা হারিয়ে ফেলি। আবার কিছু গ্রাহককে বলি আপনার ব্যাংক গ্যারান্টি দেন, তা পেলে আমরা দু’ বা তিন মাস বাকিতে রাখার সুযোগ দিতে পারি তখন দেখা যায় কিছু ক্ষেত্রে সফল হই আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যবসা হারিয়ে ফেলি। অর্থাৎ যারা বাকীতে ব্যবসা করতে পারতেছে তারা এর সুবিধা ভোগ করে আসছে। এই বিষয়টি আমার কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ মনে হয়।

 

আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের লাগাম ধরে রাখা। আইডিআরএ’র অনুমোদিত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের যে হার তা দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা দূরূহ ব্যাপার। একটি কোম্পানি পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে অতিরিক্ত খরচ আছে যেমন-সফটওয়ার এর খরচ, আইডিআরএ’র ইউএমপির চার্জ, বিভিন্ন প্রোগ্রামের খরচ ও চাঁদা। এসব খরচ প্রত্যেক বছরই বাড়ে কিন্তু আমাদের অনুমোদিত ব্যয়ের সীমা কিন্তু পরিবর্তন হচ্ছে না। ফলে বছর শেষে অনুমোদিত ব্যয়ের যে সীমা তা আর ঠিক সম্ভব হয় না। ফলে আইডিআরএ আমাদের জরিমানা করছে। তাই এই অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে সকলে অবগত হলে আমাদেরও এতে সহায়তা হয়। আমরাও চাই সীমার মধ্যে থেকে ব্যবসা পরিচালনা করতে। তাই এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলের বিবেচনায় নেয়া উচিত।

 

এছাড়া অন্যান্য অনেক বিষয় রয়েছে যেমন, কিছু কোম্পানি আন্ডারকাট রেইটে ব্যবসা করে। এতে আমরা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করছি। আর কিছু নয়। আবার অতিরিক্ত কমিশন বিষয় রয়েছে। যার ফলে এখাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অলিখিতভাবে অতিরিক্ত কমিশন প্রদানের ফলে কোম্পানিগুলোর আর্থিক ভিত দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে কোম্পানিগুলো যথাসময়ে দাবী পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। আমি মনে করি, এ খাতের সকল কোম্পানি যদি নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থ বাদ দিয়ে যুগোপযোগি উন্নতির কথা চিন্তা করে ব্যবসা পরিচালনা করে তাহলে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজেদের ভীত মজবুত করতে সক্ষম হবো।

 

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ২:২১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।