বিবিএনিউজ.নেট | রবিবার, ০৯ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট | 562 বার পঠিত
দেশের রপ্তানির অগ্রদূত হিসেবে বিবেচিত তৈরি পোশাক খাত। বর্তমানে নগদ প্রণোদনাসহ নানা ধরনের কর অব্যাহতি পায় এ খাত। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ খাতের রপ্তানি উৎসাহিত করতে নগদ প্রণোদনা আরো এক ধাপ বাড়ানো হচ্ছে। এতে নগদ প্রণোদনার পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ শতাংশে। ফলে রপ্তানিমুখী পণ্যে নগদ সহায়তা বাবদ বার্ষিক খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ছয় হাজার কোটি টাকায়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বর্তমানে তৈরি পোশাক খাত ৪ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা পেয়ে আসছে। শর্ত অনুযায়ী দেশীয় উৎপাদিত কাপড় ব্যবহার করে উৎপাদিত পোশাক রপ্তানি করার পর দেশে আয় এলে তার ওপর ৪ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়। নতুন বাজারের জন্যও একই হারে প্রণোদনা দেওয়া হয়। আগামী বাজেটে এটি আরো ১ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। তবে বিদেশ থেকে কাপড় এনে পোশাক তৈরি করে রপ্তানি করলে তার ওপর কোনো প্রণোদনা না দেওয়ার কথা বলেছে মন্ত্রণালয়। অবশ্য বর্তমানেও এটি পান না উদ্যোক্তারা।
এর বাইরে ইউরোপের বাজারে দেশীয় কাপড় ব্যবহারের শর্তে পোশাক রপ্তানি করলে যে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হয়, তা-ও বহাল রাখা হচ্ছে। এর বাইরেও ক্যাশ ইনসেনটিভের পাশাপাশি নানা ধরনের কর প্রণোদনাও পাচ্ছে পোশাক খাত। বর্তমানে পোশাক খাতে উেস কর ০.২৫ শতাংশ। পোশাকের বিভিন্ন সেবায় ভ্যাট ছাড়ও অব্যাহতি রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, বর্তমানে ৩৫টি রপ্তানিমুখী পণ্যে নগদ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এসব রপ্তানিমুখী পণ্যে নগদ সহায়তা দেওয়ার ফলে সরকারের বার্ষিক সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। এর ৮০ শতাংশ অর্থ যায় পোশাক খাতে। অর্থাৎ তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয় হয় এ খাতের নগদ প্রণোদনায়। আগামী অর্থবছরের বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ নগদ সহায়তা বৃদ্ধির কারণে নগদ সহায়তা খাতে ব্যয় বাড়বে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ শুধু এ খাতেই সরকারের ব্যয় হবে পাঁচ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আর সব মিলিয়ে বছরে সরকারের খরচ হবে ছয় হাজার কোটি টাকা।
তবে ব্যবসায়ীরা কোনো রকম শর্ত ছাড়াই ঢালাওভাবে ৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার কথা বলেছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা পায় না। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি বাড়াতে নতুন করে সাড়ে ১৬ শতাংশ প্রণোদনার দাবি করছেন পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি প্রত্যাবাসিত আয়ের ওপর প্রণোদনা দেওয়ার কথাও বলছেন তাঁরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘এ সুবিধা আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। আমরা পোশাক রপ্তানির সব ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা চাই। নতুন বাজার খুব সীমিত। এ ক্ষেত্রে সুবিধা বাড়ানো হলে সেটা খুব বেশি ফলপ্রসূ হবে না।’
Posted ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৯ জুন ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed