নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১০ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 579 বার পঠিত
করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুই মাসের স্থগিত করা ঋণের সুদ আদায়ের হার ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের এপ্রিল ও মে মাসের সুদ সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে। তবে বিদেশি ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের ঋণগ্রহীতারা এ সুবিধা পাবেন না। আর এক লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের বিপরীতে বার্ষিক ২ শতাংশ হারে এবং ১০ লাখ টাকার বেশি ঋণে ১ শতাংশ হারে মওকুফ পাওয়া যাবে।
অর্থাৎ ১ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুদ (ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ৯ শতাংশ ধরে) ২ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে। বাকি ৭ শতাংশ গ্রহককে পরিশোধ করতে হবে। আর ১০ লাখ টাকা উপরে ঋণের সুদ ১ শতাংশ মওকুফ করা হয়েছে। বাকি ৮ শতাংশ পরিশোধ করবে। ব্যাংক-গ্রাহক সস্পর্কের ভিত্তিতে সুদ আদায়ে সময় নির্ধারণ করবে। তবে একজন গ্রাহক ১২ লাখ টাকার বেশি মওকুফ পাবেন না।
এর আগে করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দুই মাস সব ধরণের ঋণের সুদ স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ১ এপ্রিল থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত আরোপিত সুদ বা মুনাফা ‘সুদবিহীন ব্লকড হিসাবে’ স্থানান্তর করতে বলা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ব্লক হিসাবে স্থানান্তরিত ঋণ গ্রহীদের কাছ থেকে কোন সুদ আদায় করা যাবে না ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে সুদ আদায়ের হার ও প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (১০ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
সম্প্রতি সরকার গত দুই মাসে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য দুই হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার ঘোষণা দেয়। ব্যবসায়ীরা যে ঋণ নিয়েছেন, সেই ঋণের ১৬ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকার যে সুদ হয়েছে, সেই সুদ পরিশোধ বাবদ সরকার এই টাকা দেবে। সুদের অবশিষ্ট অর্থ ব্যবসায়ীরা যাতে ১২ মাসের কিস্তিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে পরিশোধ করতে পারেন, সেই উদ্যোগও নেয় সরকার।
সরকারের দুই হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার ফলে আনুমানিক এক কোটি ৩৮ লাখ ঋণগ্রহীতা সরাসরি উপকৃত হবেন। কোভিড-১৯ এর কারণে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ ছিল। সেই কারণেই তাদের এ সুযোগ দেয় সরকার।
Posted ১১:১৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১০ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan