নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১৫ জুন ২০২০ | প্রিন্ট | 372 বার পঠিত
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটটি একটা এক্সেপেন্ডিচারের পার্সপেকটিভ (ব্যয়ের দৃষ্টিকোণ) থেকে দিয়েছি। যদি বাজেট তৈরি না করি, তাহলে অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তোলার কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা বাজেট তৈরি করেছি দেশের মানুষকে সামনে রেখে। দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। তাদের এ করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার চেষ্টা থাকবে।
আজ সোমবার (১৫ জুন) জাতীয় সংসদে চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সমাপনী আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিস্থিতি মোকাবিলায় এবার মানুষকে প্রাধিকার দিয়ে আগামী ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। আর এ জন্যই এবারের বাজেট ব্যয়ের ধারণা থেকে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্য বার ‘রেভিনিউ’ (রাজস্ব) অর্জন করি এবং ‘রেভিনিউ’ (রাজস্ব) খরচ করি। আমি এবার রাজস্ব খরচ করব, তারপর রাজস্ব অর্জন করব। পে অ্যাজ ইউ আর্ন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারের বাজেট তৈরি করেছি দেশের মানুষকে সামনে রেখে। এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে বাঁচাতে হবে। সাধারণত আমরা বাজেট দিয়ে থাকি সরকারি অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রাধিকার দিয়ে। এবার সেটা করা হয়নি। এবার মানুষকে প্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যবার ‘রেভিনিউ’ (রাজস্ব) অর্জন করি এবং ‘রেভিনিউ’ (রাজস্ব) খরচ করি। আমি এবার রাজস্ব খরচ করব, তারপর রাজস্ব অর্জন করব। পে অ্যাজ ইউ আর্ন। এখন যদি খরচ না করি, মানুষ বাঁচবে কেমন করে? আর মানুষকে যদি বাঁচাতে না পারি, দেশ কার জন্য? দেশের বাজেট কার জন্য? ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এ বাজেটটি ঘোষণা করেছি, সুতরাং এ বিবেচনাটি মাথায় রেখে আসুন সবাই একমত হই। দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হলে সবাইকে লাগবে, সবাইকে নিয়েই এ কাজটি করতে হবে।
এবারের বাজেট সবার বাজেট। সাধারণত আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বাজেট করে থাকি। তাই বাজেটে অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিভিন্ন উপাদান প্রাধিকার পায়, এবার আমরা সেটা করিনি। এবার মানুষকে প্রাধিকার দিয়েছি। এটা অর্থনীতির বাজেট নয়। একদিকে অর্থনীতির বাজেট, পাশাপাশি এটা মানবিক বাজেট, যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের গ্রামে যেতে বলেছেন, গ্রামের মানুষকে গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করার কথা বলেছেন। যারা গ্রামের পান দোকানদার, মুদি দোকানদার তাদের সবাইকে রক্ষা করতে হবে। তাদের দায়িত্ব নিয়েই এ বাজেট করেছি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রতি বাজেটেই সরকারের উন্নয়নের অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশে সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলোসহ সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রাক্কলন করা হয়। পরে বাজেট বাস্তবায়ন পর্যায়ে বিভিন্ন যৌক্তিক কারণে বাজেটে কিছুটা সংশোধন ও সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। এ বছরের প্রেক্ষপটটি আমাদের সবার জানা। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর অর্থনীতির অভিঘাত বিবেচনায় আমরা সমগ্র বাজেটে রাজস্ব আয়-ব্যয় এবং ঘাটতির কিছুটা সমন্বয় করেছি। জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রায় আমরা ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ২ শতাশং পুনঃনির্ধারণ করেছি। তাও যদি আমরা অর্জন করতে পারি, তা হবে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ। যে কারণে সমন্বয়ের ফলে প্রাক্কলিত জিডিপি ২৮ লাখ ৮৬ হাজার ৮৭২ কোটি টাকার পরিবর্তে ২৮ লাখ ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকা নির্ধারিত হয়েছে।
২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা থেকে নিট বরাদ্দ ৫ লাখ ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, করোনা দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ্য সেবা খাত, চিকিৎসা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত ৩ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
Posted ২:২৯ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan