রবিবার ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

পিকে হালদারসহ পাঁচজনকে দুদকে তলব

বিবিএনিউজ.নেট   |   বুধবার, ০৫ আগস্ট ২০২০   |   প্রিন্ট   |   322 বার পঠিত

পিকে হালদারসহ পাঁচজনকে দুদকে তলব

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ও শ’ওয়ালেস বাংলাদেশ লিমিটেডের এমডিসহ পাঁচজনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক নোটিশে তাদের আগামী ১০ আগস্ট হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ারের পাঠানো নোটিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর তাদের তলব করেছিল দুদক। যদিও অনেক আগেই দেশ থেকে পালিয়েছেন পি কে হালদার। ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযানের পরপরই তার নাম উঠে আসে। ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর তার বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এই চক্রের বিরুদ্ধে প্রায় ৩৬শ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে।

মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক নোটিশে পি কে হালদারসহ তলব করা ব্যক্তিরা হলেন শ’ওয়ালেস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক রেজাউর রহমান, মিজানুর রহমান ও সৈয়দা রুহি গজনভী।

অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদার ওই প্রতিষ্ঠানসহ পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন।

এরই মধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ওই এজাহারে প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার লেনদেনের বিষয়ে তথ্য ছিল।

দুদক বলছে, কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, কর ফাঁকির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন প্রশান্ত কুমার হালদার। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করার জন্য অনুরোধ করে। এর ধারাবাহিকতায় পি কে হালদারের অর্থ লেনদেন নিয়ে এক বিশেষ প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের বিষয়ে অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায়, পি কে হালদার ও তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের হিসাবে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, পি কে হালদারের হিসাবে ২৪০ কোটি টাকা এবং তার মা লীলাবতী হালদারের হিসাবে জমা হয় ১৬০ কোটি টাকা। তবে এসব হিসাবে এখন জমা আছে মাত্র ১০ কোটি টাকার কম।

অন্যদিকে পি কে হালদার এক ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ২ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বের করে নিয়েছেন। এসব টাকা দিয়েই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা কেনা হয়। তবে ঋণ নেওয়া পুরো টাকার হদিস মিলছে না। একই অভিযোগে পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো দুদক।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ২:৩৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৫ আগস্ট ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।