নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৬ মে ২০২০ | প্রিন্ট | 422 বার পঠিত
১০ মে দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খোলার অনুমতি দেয়া হলেও খুলছে না দেশের অন্যতম বৃহৎ শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়ানো এবং দোকান মালিক-কর্মচারি ও ক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি শেষ হওয়ার পর করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সাপেক্ষে খোলার দিনক্ষণ ঠিক করবে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা আবু তৈয়ব জানান, বসুন্ধরা সব সময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকে। দেশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করেই বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের আগে মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা।
আবু তৈয়ব বলেন, করোনাভাইরাস খুবই সংক্রামক। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যে কোনো ধরনের ভিড় বা জনসমাবেশ এড়িয়ে চলাটা খুবই জরুরি। কেনাকাটা করতে এসে ভিড় তৈরি হলে মানুষ যাতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে না পড়েন সে লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনিতেই বসুন্ধরা গ্রুপ করোনার এই সঙ্কটে শুরু থেকেই নানাভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। শপিং মল না খোলা তাঁর আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ, দোকান মালিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্টদের চাপে গত ৪ মে সরকার ঈদের আগে সীমিতভাবে দেশের সব শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ৫ মে এগুলো খোলা যাবে বলে জানানো হয়। পরে নতুন প্রজ্ঞাপনে শপিংমল খোলার তারিখ পিছিয়ে ১০ মে নির্ধারণ করা হয়। সেইসঙ্গে দেওয়া হয় ৪টি শর্ত।
এদিকে গত তিন দিনে দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নতুন রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। প্রতিদিনই সংক্রমণের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে বেড়েছে। এমন অবস্থায় দোকান খোলা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় সারাদেশে। অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে করোনাভাইরাস মোকাবেলা সংক্রান্ত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজেও আশংকা প্রকাশ করেন, গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও দোকান খোলার বিষয়টি সংক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
Posted ৩:৫৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৬ মে ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan