বিবিএনিউজ.নেট | শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট | 644 বার পঠিত
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনে বিজয়ী হলে সবার জন্য কাজ করবো বলে জানিয়েছেন সম্মিলিত পরিষদ নেতা ও মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক।
তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা বিজয়ী হলে সেই বিজিএমইএ গড়ে তুলবো, যেখানে ছোট-বড় সব কারখানা সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে। একইসঙ্গে নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক কেন, তা সানন্দে মেনে নেবো।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিজিএমইএ ভবনে সকাল সাড়ে ১০টায় ভোট দেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা জানান।
রুবানা হক বলেন, একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে আমরা আছি, আবার আমাদের প্রতিপক্ষও আছে। নির্বাচন নিয়ে অনেকেই নানা অভিযোগ দিচ্ছেন। বিষয়টা এমন দাঁড়িয়েছে যে, অভিযোগ করতে করতে অভিযোগ করায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। এটা বলতে পারি, সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচনের ফলাফল যাই আসুক, তা সানন্দে মেনে নেবো।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কোনো প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। একইসঙ্গে বিজিএমইএ ভবনে ভোটার ও মিডিয়া ছাড়া প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
মোট ৩৫টি পরিচালক পদের মধ্যে চট্টগ্রামের ৯টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেতা নির্বাচিত হওয়ায় এদিন শুধু ঢাকার মোট ২৬টি পরিচালক পদের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। লড়ছেন ৪৪ জন প্রার্থী।
এর মধ্যে সম্মিলিত পরিষদের ২৬ জন ও স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ জন প্রার্থী রয়েছেন। ঢাকায় মোট ১ হাজার ৫৮৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। পরবর্তীতে নির্বাচিত পরিচালকরা বিজিএমই’র সভাপতি ও সহ-সভাপতিদের নির্বাচিত করবেন। নির্বাচিত পর্ষদ ২০১৯-২১ মেয়াদ সময়ে নেতৃত্ব দেবেন।
নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। অন্যদিকে স্বাধীনতা পরিষদের নেতৃত্বে আছেন এটির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
এর আগে সমঝোতার মাধ্যমে প্রথমবার পরিষদ থেকে মো. সিদ্দিকুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হন। চুক্তি অনুযায়ী পরের মেয়াদ ২০১৭ সালে ফোরাম থেকে সভাপতি মনোনীত হওয়ার কথা। কিন্তু সহ-সভাপতি ও পরিচালকের অন্য পদগুলোর ব্যাপারে সমঝোতা হলেও সভাপতি একই ব্যক্তি থেকে যান। কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো হয় সভাপতির পদে।
বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দুই মোর্চার সমঝোতার ভিত্তিতে একটি প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী করতে চান। তাতে বাধ সাধে একটি গ্রুপ। সরাসরি ভোটের দাবিতে গঠন করা হয় স্বাধীনতা পরিষদ নামের নতুন মোর্চা। যার আহ্বায়ক হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম।
নানা চাপ উপেক্ষা করে মনোনয়নপত্র জমা দেন স্বাধীনতা পরিষদের ১৮ প্রার্থী। তবে মূল কমিটি গঠন করতে হলে তাদের প্রত্যেককেই বিজয়ী হতে হবে।
নির্বাচনে সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরামের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক। এ যৌথ প্যানেল নির্বাচনে জয়ী হলে ফোরামের নেতা হিসেবে প্রথম বিজিএমইএ’র নারী সভাপতি হবেন তিনি। রুবানা হক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের সহধর্মিণী।
Posted ১২:১০ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৬ এপ্রিল ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed