| রবিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট | 625 বার পঠিত
বাণিজ্যিক খাতে বাংলাদেশকে অর্থবহ সুবিধা দেয়ার জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) অন্য সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। জেনেভায় বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি রিভিউ কমিটির শেষ সভায় বক্তব্যদানকালে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাণিজ্যে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে এবং এসডিজির সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন বৈশ্বিক বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে অর্থবহ সুবিধা।
বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ ট্রেড পলিসি রিভিউ সমাপনী সভায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় মন্ত্রী বলেন, ডব্লিউটিওর পরামর্শকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে। বাণিজ্য খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সবসময়ই ডব্লিউটিওর দোহা ঘোষণার বাস্তবায়ন চেয়ে আসছে। বাংলাদেশ চায় অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধাসহ সব সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়ন। বাংলাদেশ এখন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আক্রান্ত ও দরিদ্র দেশের রোল মডেল নয়। বাংলাদেশ এখন একটি সম্ভাবনাময় দেশ। এরই মধ্যে তা প্রমাণও হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল, বিশ্বসভায় তা স্বীকৃত।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউটিওর সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ অনুযায়ী বাণিজ্য খাতে টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে এরই মধ্যে বেশ সুনাম অর্জন করেছি আমরা। বাংলাদেশ চায় ডব্লিউটিও ও ক্রেতাগোষ্ঠীর আন্তরিক সহযোগিতা। অনেক প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাংলাদেশ এখন সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সরকার এরই মধ্যে সড়ক, নৌ ও উড়োজাহাজ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছে। আমদানি-রফতানির সুবিধা বাড়ানোর জন্য সমুদ্রবন্দরগুলো সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করেছে। ফলে কাজ করার সক্ষমতাও বেড়েছে। বেশ কয়েকটি নতুন সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। সড়কপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। পণ্য পরিবহন এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্ভব। ডব্লিউটিওর বাণিজ্যনীতি বাস্তবায়নের আগ্রহ ও সদস্য দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে আরো উৎসাহিত করেছে। সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে অন্যতম হিসেবে উল্লেখ করেছে এডিবি। এছাড়া এ বছর ৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনেরও পূর্বাভাস রয়েছে। বাংলাদেশ এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
টিপু মুনশি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য নীতিকে সময়োপযোগী করে তোলা হয়েছে। বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগকারীদের চাহিদা অনুযায়ী সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। পণ্যের উৎপাদন খরচও কম। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগী স্থান। বিশ্বের অনেক দেশ এরই মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। এ বিনিয়োগের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
Posted ১২:৪৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed