এস এম নুরুজ্জামান | বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 681 বার পঠিত
যেই সময়টাতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা কিংবা গল্প-গানে মেতে ওঠার কথা, সেই সময়টাতে আমাদের দেশের কলেজ,মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থীকে ব্যস্ত থাকতে হয় অর্থ উপার্জনের ভাবনায়। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা এসব শিক্ষার্থীকে শুধু পড়ালেখায় মনোনিবেশ করলেই চলে না; ভাবতে হয় পড়ালেখা চালিয়ে নেয়ার অর্থের যোগান নিয়েও। এমনকি কখনো কখনো নিতে হয় পরিবারের দায়িত্বও।
জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার এই লড়াইয়ে অনেক শিক্ষার্থীর অবলম্বন বীমা পেশা। কিন্তু কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবে বর্তমানে সকল বীমা কোম্পানি বন্ধ থাকায় সেই অবলম্বনটুকুও হারিয়েছেন তারা। বীমা পেশায় জড়িত দেশের বিভিন্ন কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে ও বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানা যায়, তাদের প্রায় সকলেই বর্তমানে অর্থের অভাবে এক কঠিন দুঃসময় পার করছেন। সেই সাথে ভবিষ্যৎ নিয়েও ভুগছেন অনিশ্চয়তায়।
আগে বীমা করানোর কমিশন থেকে যে আয় হতো তা দিয়ে নিজের পড়ালেখা চালানোর পাশাপাশি পরিবারকেও কিছু সহযোগিতা করতেন। কিন্তু বর্তমানে অফিস বন্ধ থাকলেও প্রতি মাসে বাড়িভাড়া প্রদান করতে হচ্ছে শহরে থাকা এসব শিক্ষার্থীদের। ফলে ভীষণ দুর্বিপাকে পড়েছেন তারা।
তবে বর্তমানের চেয়েও ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের আশঙ্কা বেশি। এমন একটা সংকট, কারো কাছ থেকে চাইতেও পারছে না। অথচ এসব শিক্ষার্থীদের কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফি ও মেস ভাড়া সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে হবে। যদি এই পরিস্থিতি আরো দীর্ঘায়িত হয় তাহলে পরবর্তী সেমিস্টারে হয়তো অনেকে ভর্তিই হতে পারবে না।
রাজধানীর বাইরের চিত্রটাও অনেকটা একই। এমনকি অর্থের অভাবে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় চাহিদাগুলো পূরণেও হিমশিম খাচ্ছে। এই মুহুর্তে তাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা বাড়ি ভাড়া। মেস মালিকরা যদি এই সময়টায় অন্তত মেসভাড়া মওকুফ করতো তাদের খুবই উপকৃত হতো। তাদেরকে সহায়তায় সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানি এগিয়ে আসতে পারেন। এক্ষেত্রে বিআইএ ও আইডিআরএ ভূমিকা অগ্রগণ্য।
লেখক: মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা,
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
zaman15april@gmail.com
Posted ৬:৩৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | rina sristy