| সোমবার, ০৬ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 1046 বার পঠিত
‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী- বীমা কর্মীদের পাশে কেউ নেই, তাদের জন্য প্রণোদনা চাই’ যারা বীমা শিল্পের উন্নয়নে গত পাঁচ দশক মাঠে ঘাটে নিরলস কাজ করেছেন।
আজ তারা অসহায়। তাদের পাশে কেউ নেই। সামান্য কমিশন ছাড়া কোন আর্থিক অগ্রগতি নেই। মাসিক বেতন নেই, গ্রাচুইটি নেই, প্রভিডেন্ট ফান্ড নেই, পেনশন নেই, অঙ্গহানির সুবিধা নেই, দূর্ঘটনায় পতিত হলে এই মাঠ কর্মীদের কোন চিকিৎসা সুবিধা নেই। এমনকি কেউ মারা গেলেও তার পরিবার কোন আর্থিক সুবিধা পায় না।
দেশে সক্রিয় বীমা উন্নয়ন কর্মী ও কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। এরা এই পেশায় দীর্ঘদিন থেকেও চাকরি স্থায়ী করতে পারেনি। কিন্তু তাদের হাত ধরেই প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি টাকার প্রিমিয়ামের সম্পদ গড়ে উঠছে।
দূর্ভাগ্য যে, এই খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইডিআরএ প্রতিষ্ঠার দশ বছর গেলেও ১০ লক্ষ বীমা কর্মীর ভাগ্য উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখতে পাড়েনি। তাদের কর্মপন্থা, বেতন কাঠামো, চাকুরির নিশ্চয়তা, পেনশন, অসুস্থ ভাতা, গ্রাচুইটি, উৎসব ভাতাসহ কোন ধরনের সুযোগ সুবিধার নিশ্চয়তা ঠিক করতে পারেনি। তাদের অভাব-অসুবিধার কথা বললেই হারাতে হচ্ছে চাকুরী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, দেশের বীমা শিল্পের উন্নয়নে আপনি অনেক কাজ করে যাচ্ছেন। এই খাতের উন্নয়নে সম্প্রতি আপনার গৃহিত পদক্ষেপ ভূঁয়সি প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে যারা এই শিল্পের মূল চাবিকাঠি তাদের বাদ দিয়ে এই উন্নয়ন সম্ভব হবে না।
আজ পোষাক শিল্পের পরেই বীমা খাতের মতো এত বিশাল কর্মীবাহিনী আর কোন সেক্টরে নেই। কিন্তু পোষাক শ্রমিকদের মতো দাবী আদায়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করতে পাড়ে না। পারেনা তাদের মতো অফিসে তালা ঝুলিয়ে দাবী আদায় করতে। আবার ক্ষুধার্থ থাকলেও ত্রাণবাহী ট্রাকের পিছনে দৌড়াতে পাড়েনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, তাদের কোন ট্রেড ইউনিয় নেই। দাবী দাওয়া পেশ করার কোন প্লাটফর্ম নেই। অনেক অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন মাষ্টার রুলে। চাকুরি স্থায়ী হওয়ার আশায় দীর্ঘদিন কাজ করেও তা করতে পারেননি। এরইমধ্যে অন্যত্র চাকুরীর যোগ্যতাও হারিয়েছেন। কাজ করলে বেতন পান। না করলে খাবার নাই। তাদের চাকুরী স্থায়ী করার দাবী জানাচ্ছি। এই করোনা মহামারীতে অনেক অফিস কর্মী চাকরি হারানোর ভয়ে আতংকিত আছেন।তাদের চাকরির নিশ্চয়তা চাইছি ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আজ করোনার মত এই বৈশিক ক্লান্তিকালে বীমা কর্মীদের পাশে কেউ নেই। আমি অনুরোধ জানাচ্ছি বীমা মালিক এসোসিয়েসন, বীমা ফোরাম, নিয়ন্ত্রন সংস্থা (IDRA) সহ বীমা কোম্পানিগুলিকে একটি স্বচ্ছ তালিকা তৈরী করে বিপদে তাদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ানোর। জোর দাবী জানাচ্ছি, একটি সরকারী “বীমা কল্যান তহবিল” গঠন করে স্হায়ীভাবে তাদের দু:খ দূর্দশা লাঘবে সরকারকে পাশে থাকার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বে এদেশে গড়ে উঠবে বিশাল বীমা শিল্পের প্রসার। যে মহান পেশায় কাজ শুরু করেছিলেন আপনার পিতা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,অনেক প্রত্যাশা নিয় ১০ লক্ষ বীমা পেশাজীবির পক্ষে আকুল আবেদন করছি, এই মহামারীতে আপনি মা হয়ে আমাদের পাশে থাকার। আবেদন করছি আর্থিক প্রণোদনা দিয়ে আমাদের ১০ লক্ষ পরিবারের জীবন বাঁচানোর।
লেখক: আলহাজ জাহাঙ্গীর আলম
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
বীমা কল্যান সোসাইটি বাংলাদেশ(বিকেএসবি)
Posted ১:১৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৬ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | rina sristy