বিবিএনিউজ.নেট | সোমবার, ০৩ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট | 822 বার পঠিত
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বুধ অথবা বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতর। আজই শেষ কর্মদিবস। কাল থেকে সরকারনির্ধারিত তিনদিনের ছুটি।
নাড়ির টানে গ্রামের পানে ছুটছে রাজধানীবাসী। যে শহরে যানজট নিত্যসঙ্গী, সেখানে বদলে গেছে দৃশ্যপট। রাজধানী এখন অনেকটাই ফাঁকা। কাল ফাঁকা হবে আরও।
এখন চেনা রাজধানী পুরোই অচেনা! বাসের অসহ্যকর শব্দ নেই, যানজটের ভোগান্তি নেই, পড়িমরি করে যানবাহনে ওঠার চাপ নেই।
চাপ যতোটুকু এখন বাস, রেল, নৌ ও বিমানবন্দরে। আর ফুসরত মেটাতে ঈদ কেনাকাটার জন্য মার্কেটে দেখা মিলবে ব্যস্ত নাগরিকদের।
ঈদ আসলেই কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়ে পাড়ি জমান গ্রামের বাড়িতে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না।
সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, কলাবাগান, ধানমন্ডি, মালিবাগ, রামপুরা, মিরপুর, গুলশান, বাড্ডা, তেজগাঁও, যাত্রাবাড়ী, ফার্মগেটে মানুষের তেমন ভিড় ছিল না। প্রাইভেটকার, সিএনজি, রিকশার সংখ্যাও ছিল অনেক কম। এসব এলাকা ঘুরে চোখে পড়েনি কোনো যানজট ও কোলাহল।
রাজধানীর বিভিন্ন রুটের অধিকাংশ বাস ফাঁকা। তবে বিভিন্ন টার্মিনালগামী বাসে রাজধানী থেকে অদূর জেলার মানুষদের সংখ্যাই বেশি।
গণমাধ্যমকর্মী প্রশান্ত মিত্র বলছিলেন, ‘ঈদে ঢাকাতেই আছি। অনেক সহকর্মী ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। যারাও বা ঢাকায় আছেন তাদের অনেকে ছুটছেন টার্মিনালগুলোতে। দুপুরের পর পুরো ফাঁকা হয়ে যাবে এ নগরী। আবার কাল সকালেও অনেকে ঢাকা ছাড়বে। এখনই বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র। যানজট নেই। শ্যামলী থেকে শাহবাগ যেতে আগে যেখানে সময় লাগতো এক ঘণ্টার বেশি, সেখানে আজ ১৫ মিনিটেই পৌঁছে গেছি।’
দেখা গেছে, সিটিং বাসে রাজধানীর পল্টন থেকে উত্তরবাড্ডায় যেতে সময় লাগতো কমপক্ষে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা, এখন লাগছে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট।
তবে ব্যাংকপাড়া খোলা থাকায় মতিঝিলে মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। তবুও রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কম, নেই যানজট, নেই হকারদের কোলাহল।
কল্যাণপুরের বাসিন্দা মেহেদি হাসান বলেন, শনিবার রাতেই ঢাকার সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। সোমবার পুরো ফাঁকা। কল্যাণপুর থেকে সদরঘাট যেতে মাত্র ৪০ মিনিট সময় লাগছে, যা অন্য সময় লাগতো ৪-৫ গুণ বেশি।
Posted ১:০২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৩ জুন ২০১৯
bankbimaarthonity.com | Sajeed