নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১২ জুন ২০২১ | প্রিন্ট | 267 বার পঠিত
বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাবে আরোপিত ন্যূনতম ব্যালেন্স ফি, ইনসিডেন্টাল চার্জ, লেজার ফি, সার্ভিস চার্জ, কাউন্টার ট্রানজেকশন ফি বা অনুরূপ ফি আদায় থেকে বিরত থাকতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও কয়েকটি চার্জ আদায় না করার নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়ী হিসাবের ক্ষেত্রে এক্টিভেশন অব ডরমেন্ট অ্যাকাউন্ট বাবদ কোনো ফি আদায় করা যাবে না। মাসিক সঞ্চয়ী হিসাব (ডিপোজিট পেনশন স্কিম) বা এফডিআর বা অন্য কোনো মেয়াদি আমানত মেয়াদপূর্তির আগে নগদায়নের ক্ষেত্রে নগদায়ন ফি (প্রিম্যাচিউর এনক্যাশমেন্ট ফি) বা অনুরূপ ফি আরোপ করতে পারবে না ব্যাংক। হিসাব বন্ধ করার ক্ষেত্রে চার্জ হিসেবে সঞ্চয়ী হিসাবে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা, চলতি হিসাবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা এবং এসএনডি হিসাবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা আদায় করা যাবে।
তবে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাবগুলো বন্ধ বাবদ কোনো ফি আদায় করা যাবে না। বিভিন্ন ধরনের হিসাবের বিপরীতে চেকবই ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রকৃত খরচের ভিত্তিতে (অ্যাট অ্যাকচুয়াল) চার্জ নির্ধারণ করতে হবে। চেকবই হারানোর ক্ষেত্রে নতুন চেকবই ইস্যু বাবদ প্রকৃত খরচ ব্যতীত অতিরিক্ত চার্জ বা প্রসেসিং ফি আদায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সঞ্চয়ী হিসাবে ৫০০ টাকা এবং চলতি হিসাব খোলার ক্ষেত্রে এক হাজার টাকা জমা দিয়ে ব্যাংক হিসাব খুলতে পারবেন গ্রাহক। তবে, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হিসাব খোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম জমার বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সাধারণভাবে গ্রাহকদের সঞ্চয়ী ও চলতি এই দুই ধরনের হিসাব থাকে।
এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো কী হারে রক্ষণাবেক্ষণ ফি নেবে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তা নির্ধারণ করা হয়েছে। সঞ্চয়ী হিসাবে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত গড় আমানত স্থিতির ওপর ব্যাংক এক টাকাও চার্জ নিতে পারে না। ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে নিতে পারে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। ২৫ হাজার টাকার বেশি তবে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা কাটতে পারে। এছাড়া দুই লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির ক্ষেত্রে নিতে পারে সর্বোচ্চ ২৫০ টাকা। ১০ লাখ টাকার বেশি স্থিতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা চার্জ নিতে পারবে।
কটেজ, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ (সিএমএসএমই) এবং কৃষি খাতে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ/পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ঋণ প্রসেসিং/পুনঃতফসিলিকরণ/পুনর্গঠন ফি ইত্যাদি নামে কোনো ফি/চার্জ/কমিশন আদায় করা যাবে না। তবে, সিএমএসএমই ও কৃষি খাত ব্যতীত অন্যান্য খাতে ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ/পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে পুনঃতফসিলিকরণ/পুনর্গঠন বাবদ মাশুল সর্বোচ্চ দশমিক ২৫ শতাংশ আদায় করা যাবে। কোনোভাবেই এর পরিমাণ ১০ হাজার টাকার বেশি হবে না। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ডকুমেন্টেশন ফি, সিআইবি চার্জ, স্ট্যাম্প চার্জ এবং আইনি ও জামানত মূল্যায়ন ফি প্রকৃত ব্যয়ের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।
শিডিউল অব চার্জেস এর সর্বশেষ হালনাগাদকৃত পূর্ণ তালিকা স্ব স্ব ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, সকল শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটসমূহের দর্শনীয় স্থানে/নোটিশ বোর্ডে এবং ব্যাংকের ওয়েবসাইটের হোম পেজে প্রদর্শন করতে হবে। ঘোষিত/প্রকাশিত তালিকা বহির্ভূত কোনো চার্জ/ফি/কমিশন আরোপ করা যাবে না।
Posted ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১২ জুন ২০২১
bankbimaarthonity.com | saed khan