বিবিএ নিউজ.নেট | রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট | 211 বার পঠিত
ভোজ্যতেলসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতির মধ্যে পেঁয়াজের দামও চড়া। আসন্ন রমজান মাসে দাম আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন গ্রাহকরা। এমন অবস্থায় এখন থেকেই বাজারে লাগাম টানতে নতুন করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দিলো সরকার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এতে করে হিলিসহ দেশের সবগুলো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়বে। সেই সঙ্গে আসন্ন রমজানে পেঁয়াজের দামও হাতের নাগালেই থাকবে।
জানা গেছে, দেশের কৃষকদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ও চাষে উৎসাহিত করতে সরকার গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (ইমপোর্ট পারমিট- আইপি) দেওয়া বন্ধ করে দেয় সরকার। এসময় বাজারে দেশে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় দামও ছিল কমতির দিকে। আগেই অনুমতি পত্র (আইপি) নেওয়া থাকলেও চাহিদা কমায় আমদানি কমিয়ে দেন আমদানিকারকরা। তবে চলতি বছর মাঘ মাসে ‘অসময়ের বৃষ্টিতে’ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাহত হয়েছে পেঁয়াজের উৎপাদন। এতে সম্প্রতি বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কিছুটা কমেছে, আর দামও কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-অর রশীদ বলেন, দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগে পাওয়া অনুমতি পত্রের (আইপি) মাধ্যমেই আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। আবার নতুন করেও আইপি দেওয়া হচ্ছে। এতে করে পেঁয়াজের দাম এখনও অনেকটাই হাতের নাগালে রয়েছে। আমদানির এমন ধারা অব্যাহত থাকলে আসন্ন রমজানে দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই।
তবে সম্প্রতি নতুন করে পেঁয়াজের ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দেওয়া শুরু করেছে সরকার কিন্তু মেয়াদ দিচ্ছে আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত। সেই সঙ্গে পুরনো যেসব আইপি নেওয়া ছিল সেগুলোর মেয়াদও একই সময় পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
হারুন-অর রশীদ বলেন, নির্ধারিত ওই তারিখের (২৯ মার্চ) পরে কী হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছি আমরা। আইপি’র মেয়াদ না বাড়ানো হলে আমদানি যেমন বন্ধ হবে, আবার দামও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। যেহেতু সামনে রমজান মাস, এসময় পেঁয়াজের চাহিদাও থাকে বাড়তি। তাই সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানির সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমাদের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দেওয়া শুরু হয়েছে। গত তিন-চার দিন ধরে এই কার্যক্রম চলছে। এতে করে গত তিন-চার দিনেই ৫ হাজার টনের মতো পেঁয়াজ আমদানির নতুন আইপি নিয়েছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকাররা। আইপি নেওয়া এখনও অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সেই সঙ্গে আগের ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টনের মতো পেঁয়াজের আইপি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নতুন করে এখন যেসব আইপি দিচ্ছে সেগুলো আমদানির শেষ তারিখ ২৯ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আগের আইপিগুলোর ক্ষেত্রেও তারিখ সংশোধন করে ২৯ তারিখ পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই তারিখ পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানিতে কোনও সমস্যা নেই। তবে এর পরে কী হবে; আমদানি বন্ধ হবে না, চালু থাকবে নতুন নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না।’
Posted ২:৩২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২
bankbimaarthonity.com | rina sristy