সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

মেঘালয়ের বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

বিবিএনিউজ.নেট   |   শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০১৯   |   প্রিন্ট   |   369 বার পঠিত

মেঘালয়ের বিনিয়োগ প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

পারস্পরিক সুবিধার্থে ভারতীয় রাজ্য মেঘালয়ের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনার্ড সাংমা সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

‘মেঘালয়ের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন, বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী সিলেট অঞ্চলে। যেহেতু সুনামগঞ্জে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, সুনামগঞ্জে প্রায় দুই হাজার একর জমির ওপর বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।

বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মেঘালয় থেকে নুড়ি (পাথর) আমদানি করতে বাংলাদেশ নৌপথকে ব্যবহার করতে পারে যেহেতু নদীপথ ব্যবহার ব্যয়সাশ্রয়ী হয়।’

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতাকে আরও বাড়াতে এবং নৌযান চলাচল সহজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর দুই দেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া সড়ক এবং রেলপথগুলোকে পুনরায় চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি যোগাযোগ শক্তিশালী হবে।’

কনার্ড সাংমা বলেন, মেঘালয় বাংলাদেশের উন্নয়নের মহান অংশীদার হতে পারে, যেহেতু এই উত্তর ভারতীয় রাজ্যটির পর্যাপ্ত কাঁচামাল রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- চুনাপাথর, সিমেন্ট ক্লিংকার, কয়লা এবং নুড়ি। তিনি বাংলাদেশ এবং মেঘালয়ের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি এবং সংস্কৃতির বিষয়ে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ এবং এই উত্তর ভারতীয় রাজ্যটির মধ্যে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে চান। সাংমা বলেন, ‘সহযোগিতার জন্য আমাদের দরজা খোলা রয়েছে।’তিনি বলেন, মেঘালয় তার পণ্য আনা-নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ব্যবহার করতে চায়।

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী সাংমা ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। দলের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- মেঘালয়ের বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রী স্নিয়াওভালং ধর, শিক্ষামন্ত্রী ল্যাকমেন রিমবুই এবং কৃষিমন্ত্রী বেনটিওডর লিংদো, বাংলাদেশের ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস এবং মেঘালয়ের বিদ্যুৎ এবং কৃষি বিভাগ বিষয়ক মুখ্য সচিব পি শাকিল আহমেদ।

প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ১০:০০ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০১৯

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।