শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

Ad
x

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যার পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০   |   প্রিন্ট   |   363 বার পঠিত

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যার পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেন

গত জুন শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৮৭ লাখ ৯৭ হাজার। সেই সঙ্গে একক মাস হিসাবে জুনে লেনদেন হয়েছে ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে জড়িত। ২০২০ সালের জুন শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৮৭ লাখ ৯৭ হাজার, যা তার আগের মাস মের চেয়ে ৮ শতাংশ বেশি।

জানা গেছে, টানা তিন মাস একবারও লেনদেন করেনি এমন হিসাবকে নিষ্ক্রিয় হিসাব বলে গণ্য করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

এমএফএস তথ্য বলছে, আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন ও গ্রাহক সংখ্যার সঙ্গে সেবায় সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যাও বেড়েছে। জুন শেষে এমএফএস সক্রিয় গ্রাহক এক মাসের ব্যবধানে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৭১ হাজারে দাঁড়িয়েছে। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫০৪।

এমএফএস এ গত জুনে মোট ২৫ কোটি ৬০ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭২টি লেনদেনের মাধ্যমে ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪৯৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবামূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেয়া হচ্ছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আলোচিত মাসজুড়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে জুনে টাকা জমা পড়েছে ১২ হাজার ১৯৯ কোটি। এ সময়ে উত্তোলন করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা।

আলোচিত সময়ে এমএফএসে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ব্যক্তি হিসাব থেকে ব্যক্তি হিসাবে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে ১৩ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বিতরণ করেছে দুই হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। বিভিন্ন সেবার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৯৯৩ কোটি টাকা। কেনাকাটার বিল পরিশোধ করা হয়েছে ৮১১ কোটি টাকা। সরকারি পরিশোধ ৫৫৮ কোটি টাকা। এছাড়া অন্যান্য হিসাবে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।

জানা গেছে, ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরপরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।

এদিকে করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালীন সময়ে গ্রাহকের কাছে মোবাইলের লেনদেন আরো জনপ্রিয় করতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমএফএস লেনদেনের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ ক্রয়ের কোনো ধরনের চার্জ না কাটার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যক্তি হতে ব্যক্তি (পি-টু-পি) লেনদেনে (যেকোনো চ্যানেলে) এ নির্দেশনা মানতে হবে। একই সঙ্গে লেনদেনসীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ করা হয়েছে। এছাড়া দৈনিক এক হাজার টাকা ক্যাশ আউট সম্পূর্ণ চার্জবিহীন রাখতে বলা হয়েছে।

আগে যেখানে দিনে দুবারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা ক্যাশইন করা যেত। এখন তা বাড়িয়ে দিনে পাঁচবার সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা ক্যাশইন করা যাবে এবং মাসে ২৫ বারে করতে পারবে ২ লাখ টাকা। দিনে পাঁচবার সর্বোচ্চ ক্যাশআউট করা যাবে ২৫ হাজার টাকা এবং মাসে ২০ বার দেড় লাখ টাকা ক্যাশআউট করা যাবে। পাশাপাশি একজন গ্রাহক তার ব্যক্তি মোবাইল হিসেবে সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা স্থিতি রাখতে পারবেন।

Facebook Comments Box
top-1
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

Posted ২:১৩ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০

bankbimaarthonity.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

রডের দাম বাড়ছে
(11388 বার পঠিত)

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ ক্যালেন্ডার

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
প্রধান সম্পাদক: মোহাম্মাদ মুনীরুজ্জামান
প্রকাশক : সায়মুন নাহার জিদনী
নিউজরুম:

মোবাইল: ০১৭১৫-০৭৬৫৯০, ০১৮৪২-০১২১৫১

ফোন: ০২-৮৩০০৭৭৩-৫, ই-মেইল: bankbima1@gmail.com

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: পিএইচপি টাওয়ার, ১০৭/২, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।