নিজস্ব প্রতিবেদক, ময়মনসিংহ | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০ | প্রিন্ট | 591 বার পঠিত
ময়মনসিংহর উপজেলার ‘সবজি গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত ৭নং বাক্তা ইউনিয়নের বাক্তা ও শ্রীপুর গ্রামে শাক সবজি ছাড়া অন্য কোন ফসল তেমন একটা আবাদ করা হয় না। এখানকার উৎপাদিত ফসল ও শাক-সবজি এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয় নিয়মিত।
করোনার কারণে সারাদেশ লকডাউন করায় চলছে না গাড়ি। ফলে কমে গেছে সবজির দাম। স্থানীয় বাক্তা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, করলা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা মণ। সে হিসাবে করলার কেজি পড়ে তিন টাকা। সবজির ন্যায্যমূল্য না পাওয়া সবজি চাষ করে বিপাকে পড়ছে উপজেলা সবজিচাষীরা। রাত-দিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে কৃষক, করলা, লাউ, জালি, শশা, বেগুন ও টমেটোসহ রকমারি শাক-সবজি উৎপাদন করে তা বিক্রি করে শ্রমিকের মুজুরির টাকা উঠছে না। লাভ তো দূরের কথা লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রত্যেক কৃষককে। কোভিড-১৯ এর কারণে এলাকার সবজি চাষীদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন।
শ্রীপুর গ্রামের সবজি চাষী সেলিম মিয়া বলেন, ছয় একর জমিতে সবজি চাষ করেছি। ৪ লাখ টাকা খরচ করে লাউ, শশা, করলা, মরিচ ও টমেটোর আবাদ করেছি। এখন পর্যন্ত এক লাখ টাকার সবজি বিক্রয় করতে পারছি না। আগে বাড়িতে পাইকার আসতো, এখন বাজারে নিয়ে গেলেও সবজি নেয় না। একই অবস্থায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক কৃষকের। সবজি চাষীরা করোনায় আক্রান্ত না হলেও আর্থিকভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
সরাতিয়া গ্রামের কৃষক খলিল বলেন, বাক্তা বাজারে একমণ করলা বিক্রি করছি ১৪০ টাকা, ভ্যান ভাড়া দিছি ৬০ টাকা। এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা’র সঙ্গে পরামর্শ করে যাতে বিভিন্ন প্রকার ত্রাণের সাথে কৃষকের কাছ থেকে সবজি ক্রয় করে ত্রাণ হিসেবে দেয়া যায়। তবে কৃষক কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় ১৮৯৫ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে।
Posted ৯:৫৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
bankbimaarthonity.com | saed khan